Jadavpur University Agitation

পড়ুয়াদের উপর ‘পুলিশি হেনস্থার’ অভিযোগ! যাদবপুরকাণ্ডে নতুন মামলা দায়েরের আর্জি হাই কোর্টে

যাদবপুরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের নামে পড়ুয়াদের ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে দাবি এক পড়ুয়ার। এই বিষয়ে নতুন করে মামলা দায়ের করতে চেয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ ১৩:৪৯
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় নতুন মামলা দায়েরের আর্জি কলকাতা হাই কোর্টে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় নতুন মামলা দায়েরের আর্জি কলকাতা হাই কোর্টে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

যাদবপুরকাণ্ডে নতুন মামলা দায়ের করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানালেন এক পড়ুয়া। উদ্দীপন কুন্ডু নামে ওই বাম ছাত্রের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়ে পড়ুয়াদের হেনস্থার চেষ্টা করছে পুলিশ। সোমবার হাই কোর্টে এই বিষয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান তিনি। যদিও তা গ্রহণ করেনি আদালত। মামলাকারীকে মঙ্গলবার এই বিষয়ে ফের আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলেছে হাই কোর্ট। তার পরে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১ মার্চ তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। কিছু পড়ুয়া শিক্ষামন্ত্রী বাত্য বসুর গাড়িতে হামলা চালান বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হন ব্রাত্য। অন্য দিকে পড়ুয়াদেরও অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় দুই পড়ুয়া আহত হয়েছেন। যাদবপুরের ওই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এই অবস্থায় সোমবার হাই কোর্টে মামলাকারী জানান, পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বার বার ডেকে পাঠাচ্ছে পুলিশ। এর আগে ৭ মার্চ ডাকা হয়েছিল। সেই সময় কয়েক জন পড়ুয়া হাজিরা দেন। অভিযোগ, ওই দিন তাঁদের মোবাইল চাওয়া হয়। মোবাইল না-দেওয়ায় পড়ুয়াদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্থার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি মামলাকারীর।

তাঁর বক্তব্য, সোমবার আবার পড়ুয়াদের তলব করা হয়েছে। এই অবস্থায় আদালতে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান ওই মামলাকারী। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতি জানিয়ে দেন, এখনই দ্রুত শুনানি নয়। মঙ্গলবার ওই বিষয়টি নিয়ে আবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। তার পরেই আদালত বিবেচনা করবে।

বস্তুত, যাদবপুরকাণ্ডের পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। ছাত্র আন্দোলনের ফলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এক জনস্বার্থ মামলাকারী। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ওই সময়ে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি রাজ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। রাজ্যের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে। তারা পদক্ষেপ করুক।

Advertisement
আরও পড়ুন