Bus

এখনও বাকি লোকসভা-বিধানসভা ভোটের ভাড়া! ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে শঙ্কায় বাস মালিকরা

২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নেওয়া গাড়ির ভাড়া এখনো মেটানো হয়নি বলেই অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩ ১৫:০৫
photo of bus

—ফাইল চিত্র।

২০২৪-এ দেশে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে নির্বাচনের প্রস্তুতির সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এ বার সেই নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রসঙ্গে আশঙ্কার মেঘ দেখতে শুরু করেছেন বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের নেতারা। কারণ, ২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নেওয়া গাড়ির ভাড়া এখনো মেটানো হয়নি বলেই অভিযোগ।বাস মালিকদের বক্তব্য, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের জন্য যে সব বাস বা গাড়ি হুকুম দখল করা হয়েছিল, বহু ক্ষেত্রে সেই ভাড়া এখনও মেটায়নি রাজ্য সরকার। বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলির দাবি, একাধিক বার এই সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবহণ দফতরের দ্বারস্থ হলেও কোনও ফল মেলেনি। তাই আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে তাঁরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে গাড়ি ভাড়া দেবেন কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে পরিবহণ সংগঠনগুলির নেতৃত্বের মধ্যে।

Advertisement

লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রয়োজনীয় পরিবহণের ব্যবস্থা করতে বলা হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে। ফলে পুলিশ-প্রশাসন রাস্তা থেকে বাস, মিনিবাস ও বেসরকারি গাড়ি হুকুম দখল করে তা ভাড়া নেয়। সরকারের বেঁধে দেওয়া দরেই দিনপিছু ভাড়া ধার্য হয়। বাসের ভাড়ার বিল আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (আরটিও) হয়ে জেলাশাসকদের দফতরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে জেলাওয়াড়ি টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবহণ দফতরের এক সূত্র জানাচ্ছে, এই খাতে টাকা বরাদ্দ করার মতো পর্যাপ্ত তহবিলের সমস্যা রয়েছে। তাই হুকুম দখল করা বাসের ভাড়া মেটানো যায়নি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন তো বটেই, ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আট দফায় ভোট হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। এর জন্য রেকর্ড সংখ্যক বাস ও বেসরকারি গাড়ি ভাড়ায় নেওয়া হয়েছিল। সেই ভাড়া না মেটানোয় ক্ষোভ রয়েছে বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের নেতাদের মধ্যে।

সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেস-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ভাড়া এখনও আমরা পাইনি। আর ২০২১ সালের ভোটেও ভাড়া নেওয়া একাংশের বাস মালিকদের ভাড়া মেটানো হয়নি। এমনিতেই করোনা সংক্রমণের পর বেসরকারি পরিবহণ পরিষেবা কোমায় চলে গিয়েছে। তার পর যদি সরকার পক্ষ বাস ভাড়া নিয়ে ভাড়া না মেটায়, তা হলে আমাদের পক্ষেও বাস ভাড়া দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।" তাঁদের আরও ক্ষোভ, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য হুকুম দখল করা বাসের ভাড়া বাড়ায়নি রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েতের ভোটপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলেও এখনও বেসরকারি বাস মালিকরা তাঁদের বিল যথাস্থানে জমা দিতে পারেননি বলেই খবর। এ ক্ষেত্রেও তাঁরা দায়ী করেছেন প্রশাসনিক ঢিলেমিকেই। এ প্রসঙ্গে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘২০২১ সালের ভোটের সময় যে সমস্ত বাস ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, তাদের ভাড়া পাওয়ার জন্য আমরা লিখিত ভাবে একাধিক বার আবেদন করেছি। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। সরকার পক্ষ কি বেসরকারি পরিবহণ তুলে দিতে চাইছেন? তাদের বিভিন্ন কাজকর্ম দেখে আমাদের অন্তত তেমনটাই মনে হচ্ছে। এমতাবস্থায় আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে বাস মালিকরা কতটা সদিচ্ছা নিয়ে বাস ভাড়া দেবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।"

আরও পড়ুন
Advertisement