বিক্ষোভে পড়ুয়ারা ছবি সৌজন্যে পিটিআই।
পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার শান্তিনিকেতন থানায় একটি ইমেল করেন তিনি। সেই ইমেলে বিদ্যুৎ জানান, ছাত্রছাত্রীদের লাগাতার বিক্ষোভের জেরে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাঁর বাসভবনের সামনে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য তিনি পুলিশি নিরাপত্তার আবেদন করেন। এই প্রসঙ্গে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘উপাচার্য ইমেল করে আমাদের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করেছেন। আমরা গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।’’
বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার রাত থেকে আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। উপাচার্যের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। গেটে ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে সোমবার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের। সে সময় নিরাপত্তারক্ষীরা শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ সায়নী চক্রবর্তী এবং শ্রেয়া চক্রবর্তী নামের দুই ছাত্রীর। সোমবার রাতেই তাঁরা অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করেছেন শান্তিনিকেতন থানায়। তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্যের মদতেই শ্লীলতাহানি করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। মহিলা নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রীদের আটকানোর চেষ্টা করেছেন।
এ দিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া ও ফল প্রকাশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে নোটিস দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের ফলে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন উপাচার্য। বাড়ি থেকে বার হতে পারছেন না তিনি। তাই ভর্তি প্রক্রিয়া ও ফল প্রকাশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পরে পড়ুয়াদের দাবি, ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে ফল প্রকাশ, সবই হয় অনলাইনে। তা হলে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক। আন্দোলনকে থামানোর জন্যই কর্তৃপক্ষ এই চক্রান্ত করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে অচলাবস্থা আরও বাড়ছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।