TMC-BJP

জন্মদিনে তৃণমূলের অরূপকে ফোন শাহের, সুযোগ পেয়ে আবাসের ‘বকেয়া’ টাকা দাবি করলেন সাংসদ!

জন্মদিনের সকালে ঘুম ভেঙেছিল অমিত শাহের ফোনে। জন্মদিনে অভিনন্দন জানাতেই ফোন করেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ২০:৫৩
(বাঁ দিক থেকে) অমিত শাহ এবং অরূপ চক্রবর্তী।

(বাঁ দিক থেকে) অমিত শাহ এবং অরূপ চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র

জন্মদিনের সকালে ঘুম ভেঙেছিল অমিত শাহের ফোনে। জন্মদিনে অভিনন্দন জানাতেই ফোন করেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে হাতের কাছে এমন সুযোগ পেয়ে তার সদ্ব্যবহার করতে ভুললেন না বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী। প্রায় এক মিনিটের ফোনালাপের মাঝেই উপহার হিসাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চেয়ে বসলেন আবাসের বকেয়া টাকা! অরূপ নিজেই এই দাবি করেছেন।

Advertisement

লোকসভা ভোটের সময় দলীয় প্রার্থী সুভাষ সরকারের হয়ে প্রচারে বাঁকুড়ায় এসেছিলেন শাহ। বাঁকুড়ায় রোড শো-ও করেছিলেন। কিন্তু সুভাষ শেষ পর্যন্ত ভোটে জিততে পারেননি। হেরে গিয়েছেন অরূপের কাছে। নির্বাচনের পরে প্রথম জন্মদিনে সেই শাহের কাছ থেকে অভিনন্দনবার্তা পেয়ে অভিভূত তৃণমূল সাংসদ। অরূপ বলেন, ‘‘তখন সকাল ৮টা বাজে। আমি তখনও ঘুম থেকে উঠিনি। দেখি দিল্লি থেকে ফোন এসেছে। ফোনের ও পার থেকে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলবেন। আমি ফোন ধরতেই আমাকে জন্মদিনের অভিনন্দন জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রত্যুত্তরে আমি তাঁকে নমস্কার জানিয়ে বলেছি, আমার মন ভাল নেই। লাগাতার বৃষ্টিতে বাঁকুড়ার বহু বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। দ্রুত আবাস প্রকল্পের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিন। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেসে শুধু বলেছেন, দেখা যাবে।’’

আবাসের ‘বকেয়া’ টাকা কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতর দীর্ঘ দিন ধরে চলছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তুলে ‘বকেয়া’র দাবিতে এ রাজ্যে তো বটেই, দিল্লিতে আন্দোলন করেছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটেও ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র অভিযোগেও সরব হয়েছিল তারা। বিজেপির অবশ্য দাবি, আবাস প্রকল্পে তৃণমূল নেতারা পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি করেছেন। তার জেরেই টাকা বন্ধ করা হয়েছে। জেলায় বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘‘অরূপ চক্রবর্তী আগে জন্মদিনে শপথ নিন, আর দুর্নীতি করবেন না। তা হলে কেন্দ্রের টাকা দিতে কোনও আপত্তিই থাকবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement