Jiban Krishna Saha

কেষ্টর জেলায় জীবন বাংলা পড়াতেন, বিধায়ক হয়েও যাতায়াত ছিল স্কুলে! কী বলছেন প্রাক্তন সহকর্মীরা

২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে জীবনকৃষ্ণকে টিকিট দেয় তৃণমূল। প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়েই সফল। তবে বড়ঞার বিধায়ক হওয়ার আগে জীবনকৃষ্ণ বাংলা পড়াতেন অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নানুর শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:১৪
TMC MLA Jiban Krishna Saha once taught Bengali in Anubrata Mondal’s district

বীরভূমের নানুরের দেবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুলে শিক্ষকতা করতেই করতেই তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের আরও এক তৃণমূল বিধায়ক কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারির খবরে বিস্মিত তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীরা। কেউ বলছেন, ‘‘অত ভাল ব্যবহার করতেন। তিনি এমন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত!’’ কোনও প্রাক্তন সহকর্মী জানাচ্ছেন, বিধায়ক হওয়ার পরেও জীবনের ব্যবহারে কোনও পরিবর্তন দেখেননি। সব মিলিয়ে জীবনের প্রাক্তন সহকর্মীরা অবাক এবং চমকিত।

২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে জীবনকৃষ্ণকে টিকিট দেয় তৃণমূল। প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়েই সফল। বড়ঞার বিধায়ক হওয়ার আগে জীবনকৃষ্ণ বাংলা পড়াতেন অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে। তৃণমূল সূত্রে খবর, অনুব্রতের সঙ্গে এক সময় ভাল সম্পর্ক ছিল জীবনকৃষ্ণের। বীরভূমের নানুরের দেবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুলে শিক্ষকতা করতেই করতেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারির পর তাঁর পুরনো কর্মস্থলে গিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। প্রাক্তন সহকর্মী থেকে স্কুলের পরিচালন কমিটি, সবাই শিক্ষক হিসেবে জীবনকৃষ্ণের প্রশংসাই করেছেন।

Advertisement

তৃণমূল বিধায়কের প্রাক্তন সহকর্মীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে দেবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা পড়াতেন জীবনকৃষ্ণ। সহকর্মী থেকে পড়ুয়া সবার সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক ছিল তাঁর। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ‘‘যত দিন উনি এখানে চাকরি করেছেন, নিয়মিত স্কুলে আসতেন। সবার সঙ্গেই সম্পর্ক ভাল ছিল।’’ সহকর্মীরা জানাচ্ছেন কখনও মোটরবাইক নিয়ে স্কুলে আসতেন। মাঝেমধ্যে চার চাকা গাড়ি নিয়েও স্কুলে আসতেন। পরে স্কুল থেকে ট্রান্সফার নিয়ে নেন।

তবে বিধায়ক হওয়ার পরও মাঝে মধ্যে প্রাক্তন সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন জীবনকৃষ্ণ। এমন ‘ভালও শিক্ষক’ ‘ভাল মানুষ’ নিয়োগ দুর্নীতির সাথে যুক্ত বিশ্বাস হচ্ছে না অনেকের। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সভাপতি শ্যামা রতন এবং প্রাক্তন সদস্য বিজয় সাহা বললেন, ‘‘আমরা কখনও খারাপ কিছু দেখিনি। ব্যবহারও ছিল ভাল। এখন খবরে দেখছি সব কিছু।’’ বলতে বলতে চোখেমুখে বিস্ময়ের ভাব বিজয়দের।

আরও পড়ুন
Advertisement