এই ছবি দিয়ে তৃণমূল কটাক্ষ করছে সিপিএম এবং বিজেপিকে। ছবি: সংগৃহীত।
গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী সিপিএমের। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে সিপিএম প্রার্থী দেয়নি। বিরোধীদের মধ্যে সেখানে প্রার্থী দিয়েছে একমাত্র বিজেপি। সিপিএমের সেই পঞ্চায়েত প্রার্থী এবং পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থীরা একসঙ্গে ভোটপ্রচার করছেন। এমন একটি ছবি প্রকাশ করে ‘রাম’-বাম জোটের দাবি তুলে কটাক্ষ করল তৃণমূল। ভাইরাল হওয়া ওই ছবি ঘিরে সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে জোর তরজা। যদিও ওই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। অন্য দিকে, জোটের কথা অস্বীকার করেছে বাম এবং গেরুয়া শিবির।
বাঁকুড়ার তালড্যাংরা ব্লকের হাড়মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রার্থী করেছে নমিতা বাউড়িকে। ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি টিকিট দিয়েছে অচিন্ত্য ভুইয়াঁকে। জেলা পরিষদে বিজেপি প্রার্থী দুর্গা ঘোষ। তাঁরা তিন জন একত্রে ভোটের প্রচার করছেন। কর্মী-সমর্থকেরা দুই দলের পতাকা নিয়ে মিছিলে পা মেলাচ্ছেন। এমন একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ওই ছবিকে হাতিয়ার করে মঙ্গলবার থেকে আসরে নামে তৃণমূল। তাদের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলকে হারাতে নীতি বিসর্জন দিয়ে বিজেপি এবং সিপিএম নিচুতলায় জোট করেছে।’’ শাসকদলের দাবি, ওই ছবিটি আসলে তালড্যাংরা ব্লকের কিয়াশোল গ্রামের। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের দুই বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী জোটবদ্ধ হয়ে প্রচার করছেন বলে দাবি করেছে তারা। এ নিয়ে তালড্যাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই ছবি বলে দিচ্ছে বামে আর রামে মিশে গিয়েছে। গত লোকসভায় বামেরা রামকে (বিজেপি) ভোট ট্রান্সফার করেছিল। এ বারও কোথাও বামেরা রামকে, কোথাও আবার রামেরা বামকে ভোট ট্রান্সফার করবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘দু’দলেরই পায়ের তলায় মাটি নেই। ওরা যতই বড় বড় কথা বলুক না কেন একে অপরকে ছাড়া কেই বাঁচতে পারবে না।’’
যদিও এই ছবির সত্যতা স্বীকার করেনি বিজেপি। দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে যখন মাটি সরতে শুরু করেছে, তখন তারা এমন ভিত্তিহীন ছবি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিজেপি এই গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে একক শক্তিতে লড়াই করছে। বামেদের সঙ্গে জোট থাকলে তা তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে।’’ সিপিএমও এই ‘জোট’ গড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য অভয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা পার্টি কংগ্রেসে স্পষ্ট বলেছি, আমাদের প্রধান শত্রু বিজেপি। আমাদের লক্ষ্য, কেন্দ্র থেকে বিজেপি এবং রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করা। এখন মিথ্যা ছবি নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তৃণমূল আসরে নেমেছে। ভিতরে ভিতরে জোট করে কেন্দ্র ও রাজ্য চালাচ্ছে দুই দল।’’