Satabdi Roy

দালালচক্র বন্ধ হবে, এ বার রামপুরহাট হাসপাতাল নিয়ে বৈঠকের পর রায় দিলেন শতাব্দী

রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে মুখ খুললেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সোমবার বৈঠকে এ নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৩ ১৩:৪৪
Satabdi Roy expresses her discontent over the service in Rampurhat Government Medical College and Hospital

শতাব্দী রায়। — ফাইল চিত্র।

রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে এ বার মুখ খুললেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সোমবার হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। একই কথা শোনা গিয়েছে রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বোলপুরের অসিত মালের গলাতেও। অতি সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে এক দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুবককে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। সেই বিতর্কের রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই মদনের সুর এ বার শোনা গেল বীরভূমের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কণ্ঠেও।

সোমবার হাসপাতালের পর্যালোচনা বৈঠক থেকে বেরিয়ে শতাব্দী অভিযোগ করেন যে, তিনি হাসপাতালে বার বার ফোন করার পরেও কর্তৃপক্ষ কোনও উত্তর দেয়নি। সেই রোগীকে ২৪ ঘণ্টা পর উত্তর দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। তাঁর মতে, ‘‘এমনটা তো চলতে পারে না। যদি আমার সুপারিশে গিয়ে এই অবস্থা হয়, তা হলে সাধারণ মানুষের কী হবে? আমার উত্তর চাই। যা যা অভিযোগ হাসপাতাল সম্পর্কে আছে, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা প্রতি দু’মাস পরে পর্যালোচনা বৈঠক করব। যেগুলি বলা হচ্ছে তা আদৌ বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা দেখা দরকার।’’ হাসপাতালে দালালচক্র বন্ধ হবে বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।

Advertisement

হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে অভিযোগ করেছেন অসিতও। তাঁর মতে, ‘‘হাসপাতালে দালালচক্রের উৎস বার করতে হবে। হাসপাতাল থেকে রোগীকে নিয়ে গিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হচ্ছে। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’

পর্যালোচনা বৈঠকে ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়। তাঁর কথায়, ‘‘হাসপাতাল নিয়ে জনগণের বহু অভিযোগ আছে। আমরা তা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করলাম। রেফার নিয়েও কথা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো নিয়েও কথা হয়েছে। সরকার যে যন্ত্রপাতি কিনছে তা নার্সিংহোমের কেনার ক্ষমতা আছে? পরিষেবা সঠিক ভাবে হলে এই বৈঠকে বসার কোনও দরকার ছিল না।’’

রামপুরহাট ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে বলেন, ‘‘রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের যাতে সর্বোত্তম পরিষেবা দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হাসপাতালের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যা সামান্য খামতি আছে তা আশা করি পূরণ হবে। ভাল পরিষেবা দিতে পারব।’’ হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের মন্তব্য, ‘‘দালাল বলে আলাদা করে কোনও পরিচয়পত্র আছে কি না জানা নেই। কেউ নিয়ম-বহির্ভূত কাজ করলে তা কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement