Bogtui Murder

বগটুইয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ধৃত তৃণমূলের লালন শেখ, সিবিআইয়ের জালে মূল অভিযুক্ত

গত ২১ মার্চের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন লালন। বগটুই-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তিনি। লালন গত ২১ মার্চ রাতে গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট  শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:১০
ধৃত লালন শেখ (মাঝখানে)।

ধৃত লালন শেখ (মাঝখানে)। — নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র জালে ধরা পড়লেন বগটুই-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। লালন শেখ ওরফে ছোট লালন নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। লালনের বিরুদ্ধে বগটুইয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ রয়েছে। লালনকে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁকে রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক তাঁকে ৬ দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ মার্চের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন লালন। বগটুই-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তিনি। লালন গত ২১ মার্চ রাতে সেই গ্রামের বেশ কয়েক জন বাসিন্দাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ডান হাত ছিলেন এই লালন। বিভিন্ন সময়ে ওই কাণ্ডে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে করে লালনের নাম পান সিবিআই আধিকারিকরা। অবশেষে তাঁকে ধরল সিবিআই। রবিবার সকালে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। ২১ মার্চ বগটুই গ্রামে যাঁদের পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের আত্মীয় মিহিলাল শেখ ধৃত লালনের ফাঁসির দাবি তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সে দিন যে দলবল এসেছিল তার নেতৃত্বে ছিল লালন। আমরা ওর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। এটা মানুষও চাইছে।’’

Advertisement

গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা ছুড়ে দুষ্কৃতীরা খুন করে রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদুকে। সেই খুনের পর রাতে বগটুই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে ১০ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। সেই কাণ্ডের তদন্তে আরও এক ধাপ এগোলেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন
Advertisement