Cobra Recovered

উদ্ধার তিনশোর বেশি গোখরো

স্থানীয় ও দফতর সূত্রে খবর, ওই বনাঞ্চলের গোবিন্দপুর, মাদলা, গোঁসাইডি, বাড়েরিয়ার মতো জঙ্গল লাগোয়া জনপদগুলিতে বেশি করে সাপ মিলছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঘমুণ্ডি শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ০৯:৫৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

হেঁশেল থেকে শুরু করে ঘরের উঠোন। স্কুলচত্বর থেকে পথের ধার। অন্য বছরগুলির তুলনায় এ বারে বাঘমুণ্ডি বনাঞ্চলের বিশেষত লোকালয় এলাকা থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় গোখরো উদ্ধার হয়েছে। বন দফতর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে পাথুরে ওই এলাকায় জুন মাসের গোড়া থেকে তিনশোরও বেশি গোখরো উদ্ধার হয়েছে। ডিএফও (পুরুলিয়া) অঞ্জন গুহ বলেন, “বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি ভাল খবর। সাপ চোখে পড়লেই মানুষজন দফতরে খবর দিচ্ছেন। দফতরের তরফে টানা প্রচারের ফল মিলেছে।”

Advertisement

স্থানীয় ও দফতর সূত্রে খবর, ওই বনাঞ্চলের গোবিন্দপুর, মাদলা, গোঁসাইডি, বাড়েরিয়ার মতো জঙ্গল লাগোয়া জনপদগুলিতে বেশি করে সাপ মিলছে। যদিও ইতিউতি সাপের আনাগোনায় রাতের ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের। এলাকায় এত সাপ কোথা থেকে আসছে, ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না তাঁরা। গোবিন্দপুরের এক বাসিন্দার কথায়, “উদ্ধার করার পরে গোখরোগুলিকে জঙ্গলে ছাড়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে ফের সেগুলি ঘুরেফিরে লোকালয়ে চলে আসছে।”

তবে এই প্রথম নয়। বর্ষার মরসুমে ফি বছর ওই বনাঞ্চল থেকে প্রচুর গোখরো উদ্ধার হয়। ডি

এফও বলেন, “গোখরো সাধারণত শুকনো জায়গা বেশি পছন্দ করে। হতে পারে সে জন্য লোকালয়ে বেশি করে দেখা যাচ্ছে।” তবে লোকজনের উদ্দেশে বনকর্তাদের পরামর্শ, সাপ চোখে পড়লে দফতরে জানান।আর কাউকে সাপে ছোবল মারলে ওঝা বা গুনিন নয়,সোজা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। অন্ধকারে আলো নিয়ে পথ চলারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সজাগ রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরও। বাঘমুণ্ডির বিএমওএইচ সুকুমার সরেন বলেন, “দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কাউকে সাপে কাটলে দ্রুত হাসপাতালে আসুন। পর্যাপ্ত প্রতিষেধক মজুত রাখা হয়েছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement