Poisonous Mushroom

বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে বাঁকুড়ায় অসুস্থ একই গ্রামের ১১ জন শিশু, ভর্তি করানো হল হাসপাতালে

গ্রামবাসীদের দাবি, সন্ধ্যার পর থেকে একের পর এক শিশুর বমি, পেটে এবং মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়। একের পর এক শিশুর এমন উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ১৭:৩৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

গ্রামলাগোয়া মাঠ থেকে মাশরুম সংগ্রহ করে এনেছিল একদল শিশু। সেই মাশরুম আবার নিজেরা রান্না করে খেয়েছিল তারা। কিন্তু খাওয়ার কিছু ক্ষণ পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের মামুড়্যা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনায় অসুস্থ হয়েছে ১১ জন শিশু। তাদের রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মামুড়্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লাগোয়া একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের না আছে কোনও পাঁচিল, না রয়েছে রান্নাঘরের দরজা, জানলা। অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার বিকেলে ওই স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি চত্বরে খেলাধুলা করছিল গ্রামের শিশুরা। খেলাধুলার ফাঁকে অভিভাবকদের নজর এড়িয়ে শিশুদের একাংশ গ্রামলাগোয়া মাঠ থেকে মাশরুম সংগ্রহ করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে আসে। তার পর খেলার ছলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘরে নিজেরাই ওই মাশরুম রান্না করে খেয়ে নেয়। খাওয়াদাওয়া শেষে প্রত্যেকেই বাড়ি ফিরে যায়।

গ্রামবাসীদের দাবি, সন্ধ্যার পর থেকে একের পর এক শিশুর বমি, পেটে এবং মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়। একের পর এক শিশুর এমন উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অসুস্থ শিশুগুলিকে জিজ্ঞাসা করে মাশরুম রান্না করে খাওয়ার কথা জানতে পারেন অভিভাবকেরা। এর পর দ্রুত মোট ১১ জন অসুস্থ শিশুকে প্রথমে রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ১১ জন শিশুকেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই শিশুরা। ১১ জন শিশুর অবস্থাই স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গ্রামবাসীদের ধারণা, খাবার উপযোগী মাশরুম মনে করে বিষাক্ত মাশরুম তুলে এনে খাওয়ার ফলেই শিশুগুলি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

মামুড়্যা গ্রামের বাসিন্দা বাবলু সর্দার এবং বিজয় রায় বলেন, “মাশরুম সংগ্রহ করার পর তা রান্না করে শিশুরা যে খেয়েছিল তা জানতেন না কোনও অভিভাবক। ফলে শিশুরা যখন একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছিল তখন প্রাথমিক ভাবে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। শিশুগুলি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরে তার জন্য প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।” রাইপুরের বিডিও হীরক বিশ্বাস বলেন, “শুক্রবার রাতে খবর পাওয়ার পরই শিশুদের রাইপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার পর প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাতেই শিশুগুলিকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। শিশুগুলি এখন অনেকটাই সুস্থ। দ্রুত তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বিষাক্ত মাশরুম সংগ্রহ করে নিজেরাই রান্না করে খাওয়ার ফলেই এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে ঠিক কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement