Bankura

ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটতেই বাঁকুড়ার ওন্দায় ছড়াল ডায়রিয়া, আক্রান্ত প্রায় ৫০

ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটতেই বাঁকুড়ায় দেখা দিল ডায়রিয়ার প্রকোপ। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের রাজারপুকুর বাউরিপাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত প্রায় ৫০ জন। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ২৩:২৬

—নিজস্ব চিত্র।

ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটতেই বাঁকুড়ায় দেখা দিল ডায়রিয়ার প্রকোপ। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের রাজারপুকুর বাউরিপাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত প্রায় ৫০ জন। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। আক্রান্তদের স্থানীয় ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রাম থেকে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এলাকায় পাঠানো হয়েছে মেডিক্যাল টিম।

Advertisement

ঘূর্ণাবর্তর জেরে গত সপ্তাহের বুধবার থেকে বাঁকুড়া জেলায় শুরু হয় বৃষ্টি। রবিবার পর্যন্ত লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে জেলার বহু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে দামোদর নদ তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় বন্যার আশঙ্কা। রবিবারের পর বৃষ্টির মাত্রা কমায় ধীরে ধীরে জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। জল সরে যায় বহু এলাকা থেকে। তবে প্রাকৃতিক সেই দুর্যোগের রেশ কাটতে না কাটতেই বাঁকুড়া জেলায় এ বার দেখা দিল ডায়রিয়ার প্রকোপ। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের রাজারপুকুর এলাকায় মঙ্গলবার থেকে একের পর এক গ্রামবাসীর পেটে ব্যথা, বমি ও পায়খানার মতো উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এই ধরনের উপসর্গে আক্রান্তর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বুধবারও গ্রামে নতুন করে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়ে পড়েন। দ্রুত আক্রান্তদের ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কয়েক জনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজেও স্থানান্তরিত করা হয়। অতি দ্রুত আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা বাহাদুর বাউরি বলেন, ‘‘গ্রামের একটি পুকুরের জল আমরা গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করি। সেই পুকুরেই মাছের খাবার হিসাবে বিভিন্ন পাখির মল ফেলা হচ্ছে। আমাদের ধারণা, দূষিত সেই জল থেকেই এই অসুখ ছড়াচ্ছে।’’ গ্রামের আর এক বাসিন্দা বন্দনা বাউরি বলেন, ‘‘আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। স্বাভাবিক ভাবেই গ্রামের লোকজন এখন আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে।’’

এ দিকে ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিতেই এলাকায় নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। দ্রুত গ্রামে পাঠানো হয় মেডিক্যাল টিম। এলাকা থেকে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠান স্বাস্থ্য কর্মীরা। গ্রামবাসীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি মূখ্য স্বাস্থ আধিকারিক সজল বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা, পুকুরের দূষিত জল থেকেই এই ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। ওই পুকুরের জল গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করার জন্য গ্রামবাসীদের নিষেধ করা হয়েছে। পুকুরটির জল শোধনের জন্য স্থানীয় লোদনা গ্রাম পঞ্চায়েতকে অনুরোধ করা হয়েছে। এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও আক্রান্তদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement