Jhalda Municipality

পুর দফতরের নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে ঝালদায় ‘নির্দল’ চেয়ারম্যান নির্বাচন কংগ্রেসের

শনিবার ঝালদার দুই নির্দল কাউন্সিলর, শিলা চট্টোপাধ্যায় এবং সোমনাথ কর্মকার জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা জানান।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:০০
ঝালদায় নতুন চেয়ারম্য়ান হিসাবে নির্দল কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করল কংগ্রেস।

ঝালদায় নতুন চেয়ারম্য়ান হিসাবে নির্দল কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করল কংগ্রেস। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের পরেই ঝালদার এক নির্দল কাউন্সিলর এবং আর এক নির্দল কাউন্সিলরের স্বামী যোগ দিলেন কংগ্রেসে। আর তার পরেই ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে’ ওই নির্দলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করল কংগ্রেস।

শনিবার নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার নিজে এবং নির্দল কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা জানান। এর পর সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে শিলাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। শিলা বলেন, ‘‘ঝালদা পুরসভা এলাকার মানুষ কে পরিষেবা দেওয়ায়ই হবে আমার প্রথম কাজ।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশিকা জারি করে তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছোয়ারকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঝালদার পুরপ্রধান ২১ নভেম্বর অপসারিত হন। ২৮ নভেম্বর পদ থেকে ইস্তফা দেন উপপুরপ্রধান। সে কারণে পুর-আইন অনুযায়ী জবাকে আপাতত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। শনিবার নয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে সেই নির্দেশিকাকেই চ্যালেঞ্জ করল কংগ্রেস।

পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘প্রশাসন চেয়ারম্যান ঠিক করে দেওয়ার পরও কংগ্রেস অস্থির অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য বেআইনি ভাবে এই কাজ করেছে। এবং ওই এলাকার মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’’ অন্য দিকে, নেপাল বলেন, ‘‘আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। এই কাজটি জেনেশুনে করা হয়েছে। কারণ আমাদের তিন জন কাউন্সিলর তো পুরপ্রধান ঠিক করার জন্য সভা ডেকেছেন। ওঁদের (তৃণমূল) এই অভিসন্ধি ধোপে টিকবে না। আমরা উচ্চ আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হবো যে আমরা সঠিক পদ্ধতি মেনেই পুরপ্রধান ঠিক করেছি।’’

নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা বলেন, ‘‘আমার চেয়ারম্যান হওয়ার কোনও ইচ্ছে ছিল না। দল শিলা চট্টোপাধ্যায়কে পুরপ্রধান হিসেবে ঠিক করেছে। আমরা সকলে তাঁকে সহযোগিতা করব এবং ঝালদা পুরসভা এলাকার মানুষ যাতে পরিষেবা পান তার ব্যবস্থা করব।’’

প্রসঙ্গত, ১৩ অক্টোবর ঝালদার তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালেরর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরেরা। এর পরেই কংগ্রেস কাউন্সিলর পিন্টু চন্দ্র পুরনো একটি মামলায় পুলিশের নির্দেশে থানায় হাজিরা না দেওয়ায় তাঁকে সাক্ষী থেকে আসামি করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতারের তোড়জোড় শুরু হলে পিন্টু-সহ বিরোধী সাত কাউন্সিলর রক্ষাকবচের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।

পিন্টুকে আগেই ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাই কোর্ট। শুক্রবার একই রক্ষাকবচ দেওয়া হয় অন্য কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের। তার আগেই গত ২১ নভেম্বর আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হন সুরেশ। ১২ কাউন্সিলের ঝালদা পুরসভায় এখন নির্দল শিলা-সহ কংগ্রেস শিবিরে রয়েছেন ৭ জন। তৃণমূলের রয়েছেন ৫ কাউন্সিলর।

আরও পড়ুন
Advertisement