অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।
কোর কমিটির সদস্য নন, অথচ কালীপুজোর পর জেলা কমিটির পাশাপাশি কোর কমিটির বৈঠক ডাকবেন বলে ঘোষণা করলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অন্য দিকে, কোর কমিটির সদস্য তথা বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ জানাচ্ছেন, তাঁরা মিলেমিশে বৈঠক করবেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, আবার কি বীরভূম জেলা তৃণমূলের রাশ অনুব্রতের হাতেই তুলে দেওয়া হল?
মঙ্গলবার বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী ছিল। সেখান থেকেই অনুব্রত জানিয়েছেন কোর কমিটির বৈঠকের কথা। ইলামবাজারে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে অনুব্রতকে আবার বাঘের ছবি দিয়ে বরণ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর প্রায় দু’বছর জেলে ছিলেন অনুব্রত। অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে বীরভূমের দলের সাংগঠনিক হাল ধরার জন্য তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। এখনও রয়েছে সেই কোর কমিটি। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ এবং তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ। জামিন পেয়ে অনুব্রত বীরভূমে ফিরলেও সেই কোর কমিটি এখনও রয়েছে।
আবার রাজ্য নেতৃত্ব থেকে বার বার কোর কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে অনুব্রত বলেন, ‘‘কালীপুজো, ভাইফোঁটা, ছটপুজো যাক। আমি জেলা কমিটির মিটিং ডাকব। কোর কমিটির মিটিং ডাকব। তার পর কলকাতা যে ভাবে বলবে, সে ভাবে চলব।’’ তিনি আরও জানান, কালীপুজো-ছটপুজো হয়ে গেলে বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলদের নিয়ে বৈঠক হবে। প্রয়োজনে কিছু পরিবর্তনও আনবেন। অর্থাৎ, জেলা কমিটিতে রদবদল হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এর আগে নিজেই বিজয়া সম্মিলনীর কথা জানিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কোপের মুখে পড়েছিলেন অনুব্রত। তবে কাজল জানিয়েছেন, কোর কমিটির আহ্বায়কদের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুব্রতের। তাঁরা সকলে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। কারও সঙ্গে কারও দূরত্ব নেই। তিনি বলেন, ‘‘গত ২৪ অগস্টের পর কোর কমিটির বৈঠক হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মাসে চারটে মিটিং করতে। কিন্তু কোনও কারণে সেটা হয়নি। কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী কালীপুজোর পর মিটিং ডাকবেন।’’