বিবস্ত্র পড়ে মহিলা, পাশে অর্ধনগ্ন যুবক
Crime Against Woman

ঝোপে মহিলার দেহ, খুন-ধর্ষণে গ্রেফতার সঙ্গী

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর চুয়াল্লিশের ওই মহিলার গোপনাঙ্গে অল্প চোট থাকলেও শরীরে বড় কোনও ক্ষত মেলেনি। মৃতার মুখ দিয়ে ফেনা বার হচ্ছিল বলে দাবি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৫
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রায় বিবস্ত্র অচৈতন্য মহিলাকে জড়িয়ে শুয়ে সংজ্ঞাহীন, অর্ধনগ্ন এক যুবক। রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ার এক জঙ্গল লাগোয়া এলাকার ঝোপ থেকে দু’জনকে উদ্ধার করে পুলিশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে মহিলাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক। মহিলার দাদার দায়ের করা খুন ও ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ধৃত সুজয় ওরফে সখি কর্মকার খাতড়া মহকুমার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার ধৃতকে খাতড়া আদালত চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর চুয়াল্লিশের ওই মহিলার গোপনাঙ্গে অল্প চোট থাকলেও শরীরে বড় কোনও ক্ষত মেলেনি। মৃতার মুখ দিয়ে ফেনা বার হচ্ছিল বলে দাবি। যা বিষক্রিয়ার জন্য হতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের একাংশের।

এ দিকে, ধৃত সুজয়ের বয়ানেও কিছু অসঙ্গতি মিলেছে। এ দিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের কাছে বছর ত্রিশের সুজয়ের দাবি, “নেশাগ্রস্ত অবস্থায় অর্থের বিনিময়ে ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক করতে গিয়েছিলাম। তার পরে কী হয়েছে, মনে নেই।” কী ভাবে ওই মহিলার মৃত্যু হল, তা নিয়েও স্পষ্ট কিছু জানাতে
পারেনি সে।

বিশেষ সূত্রে খবর, সুজয় পুলিশকে জানিয়েছে, দুই ব্যক্তি ওই মহিলার সঙ্গে তার পরিচয় করায়। ঘটনায় তারা কোনও ভাবে জড়িত কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, “তীব্র নেশার কারণে ধৃত সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়তে পারে। তবে ওই মহিলার ঠিক কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা ময়না তদন্তের রিপোর্টেই জানা যাবে। মৃতার পরিবারের তরফে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের
করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে
দেখা হচ্ছে।”

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনাস্থলে মৃতার শরীরের উপরে উপুড় হয়ে পড়েছিল সুজয়। প্রথমে ডাকাডাকি করা হলেও দু’জনের কেউই সাড়া দেয়নি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে তাঁদের
উদ্ধার করে। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরে সুজয়ের।

আরও পড়ুন
Advertisement