সল্টলেকে এবিভিপির অভিযান ঘিরে অশান্তি। ছবি: সংগৃহীত।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং মুখ্যমন্ত্রী (তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবিতে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি। তার আগেই মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে বিক্ষোভ দেখাতে গেল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। সিটি সেন্টারে জমায়েত হয়ে স্বাস্থ্যভবনের দিকে মিছিল করে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।
পুলিশ অবশ্য মঙ্গলবার এবিভিপি নেতা-কর্মীদের সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত যেতে দেয়নি। প্রায় দু’কিলোমিটার আগে ইন্দিরা ভবনের অদূরে আটকে দেওয়া হয় মিছিল। সেখানেই রাস্তায় বসে বৃষ্টির মধ্যে প্রথমে স্লোগান দিতে থাকেন এবিভিপি কর্মীরা। এর পর তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোত শুরু করলে উত্তেজনা ছড়ায়। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় অশান্তি। পুলিশ জোর করে অবরোধ তুলতে গেলে শুরু হয় সংঘর্ষ। ইট ছোড়াছুড়ি, লাঠিচার্জে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। বেশ কয়েক জন এবিভিপি কর্মীকে আটক করে ভ্যানে তোলে পুলিশ।
পুলিশ এবং র্যাফের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার অভিযোগ তুলেছে এবিভিপি। এমনকি, মহিলা সমর্থকের উপর পুরুষ পুলিশ বলপ্রয়োগ করেছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিদ্যার্থী পরিষদের রাজ্য সম্পাদক সঙ্গীত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই স্বাস্থ্যভবন অভিযান করতে চেয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের উপরে লাঠি না চালালেই পারত।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমি ভাঙচুর চালাতে যাইনি। রাজ্যের যে পরিস্থিতি তাতে নিখোঁজ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে খুঁজতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের আক্রমণ করল। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে যারা ভাঙচুর চালাল তাদের যা খুশি তাই করতে দিল পুলিশ।’’ পুলিশের আক্রমণে তাদের কয়েক জন সদস্য জখম হয়েছে বলেও দাবি সঙ্গীতের।