Primary teacher's Job Cancellation

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদ, ৩৬০০০ চাকরির শুনানি মঙ্গলবারই

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ১১:৩৪
Primary Education council Moves to division bench against Justice Abhijit Ganguly\\\\\\\\\\\\\\\'s decision

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা শুক্রবারই বলেছিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

প্রাথমিকের ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এ ব্যাপারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করল পর্ষদ। পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা এই নির্দেশকে আইনি ভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছেন। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই এই চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে।

গত শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটির উল্লেখ করে তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার শুনানিতে বিচারপতি এ-ও বলেছিলেন যে এই ৩৬ হাজার শিক্ষকের যখন নিয়োগ হয়েছিল, তখন তাঁরা প্রশিক্ষিতও ছিলেন না। বিচারপতির ওই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ত্রুটি ছিল না। নিয়োগ নিয়ম মেনেই হয়েছিল। এমনকি, ওই ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সময় অপ্রশিক্ষিত হলেও এখন আর তাঁরা অপ্রশিক্ষিত নন। এনসিটিই-র নিয়ম মেনে তাঁদের দু’বছরের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল পর্ষদই।

Advertisement

২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেই মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। ওই বছর মোট ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল প্রাথমিকের বিভিন্ন স্কুলে। এঁদের মধ্যে ৩৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি বলে অভিযোগ ছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই ৩৬ হাজার শিক্ষক আগামী চার মাস প্যারা টিচার হিসাবে স্কুলে কাজ করবেন। আর এই চার মাসের মধ্যেই এই শিক্ষকদের ছেড়ে যাওয়া পদে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ শুরু করে শেষ করতে হবে পর্ষদকে। সোমবার এই চাকরিচ্যুতদের তরফেও বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি মামলা হয়েছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।

Advertisement
আরও পড়ুন