প্রতীকী ছবি।
থানায় তুলে এনে এক যুবককে প্রচণ্ড মারধরের অভিযোগ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী। সাজাহান শেখ নামে ওই যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শুক্রবার সকালেই বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সাজাহানের মা রঙ্গিলা বেওয়ার অভিযোগ, ‘‘পুলিশের বেধড়ক মারে আমার ছেলের ডান পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে। বৃহস্পতিবারও এক দল পুলিশ ছেলের গ্যারাজে হানা দেয়। কলকাতা
হাই কোর্টের দ্বারস্থ হব।’’ ইতিমধ্যেই তিনি জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপারের কছে সুতি থানায় তাঁর ছেলেকে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। বিভিন্ন সূত্রের খবর, ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে এক ব্যক্তি সাজাহানদের গ্যারাজে বাইক নিয়ে আসে টায়ার সারাতে। সারানোর পরে বাইক নিয়ে চলে যান সোলেমান শেখ নামে ওই বাইক মালিক। কিছু ক্ষণ পরে ঘুরে এসে তিনি দাবি করেন, তাঁর বাইকে এক লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ছিল, সে টাকা চুরি গিয়েছে। গ্যারাজ কর্মীরা অস্বীকার করলে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ গ্যারাজ থেকে সাজাহানকে সুতি থানায় তুলে নিয়ে যান এক এসআই। সাজাহান বলছেন,“ওসির ঘরে আমার দু’টি হাত পিছমোড়া করে বেঁধে উবু করে মেঝেতে শুইয়ে দিয়ে মুখে পাইপ লাগিয়ে দিয়ে জল ঢোকাতে শুরু করে পুলিশ। এর পর ৬-৭ জন পুলিশ কর্মী মিলে পায়ের উপর জুতো পরে লাফাতে শুরু করে।” সাজাহানের কাকা সফুর আলির অভিযোগ, ‘‘রাত ৯টা নাগাদ সাজাহানকে টেনে হিঁচড়ে ওসির ঘর থেকে বার করা হয়। সে বসতে পর্যন্ত পারছিল না। প্রচণ্ড কাঁপছিল। দুটো কম্বল এনে তার গায়ে চাপা দেওয়া হয়।’’ সেই রাতে পুলিশ ছেড়ে দেয় সাজাহানকে। রাতেই মহেশাইল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরে রেফার করা হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। শুক্রবার রেফার করা হয়েছে মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে।
সুতি থানা এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের আগে কিছু বলা যাবে না।”