পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বেসরকারি গাড়িতে ভেহিক্ল লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম (ভিএলটিডি) বসানোর নির্দেশ দিয়ে তা বাধ্যতামূলক করেছিল পরিবহণ দফতর। অথচ সেই ভিএলটিডির অন্তর্গত প্যানিক বাটন গাড়িতে কাজ করছে না। এমন অভিযোগ জানিয়েই শুক্রবার পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে চিঠি দিল জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স।
গণপরিবহণ পরিষেবায় নারী-শিশু-সহ নাগরিকদের সুরক্ষার পাকাপাকি বন্দোবস্ত করতে পরিবহণ দফতর বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব সহ সমস্ত বাণিজ্যিক যানে এই প্রযুক্তির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। এই ব্যবস্থায় সব গাড়িতে থাকে ভিএলটিডির সঙ্গে থাকে প্যানিক বাটন। কিন্তু পরিবহণ সংগঠনগুলির অভিযোগ, সম্প্রতি পরীক্ষামূলক ভাবে তারা এই প্যানিক বাটন টিপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, প্যানিক বাটনে চাপ দিলেও পুলিশ প্রশাসন থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ করেছেন পরিবহণ সংগঠনগুলির কর্তারা। তাই এ বার এই সংক্রান্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করে বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলি চিঠি পাঠিয়েছে পরিবহণমন্ত্রীকে।
সেই চিঠিতে এই ব্যবস্থার একাধিক ত্রুটি শোধরাতে পদক্ষেপ করার আবেদন জানানো হয়েছে। যত দিন না বিষয়টি নিশ্চিত না হচ্ছে, তত দিন ভিএলটিডি না বসানোর আবেদন করেছে পরিবহণ শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলি। ভিএলটিডির সামগ্রিক কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। সিটি সার্বাবান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘ভিএলটিডি পরিকাঠামো এখনও ঠিকঠাক ভাবে গড়ে ওঠেনি। কিন্তু গাড়ির মালিকরা অর্থ খরচ করে তা গাড়িতে লাগিয়েছেন। সেই কারণে আমরা বলেছি, আগে পরিকাঠামোর বৃত্ত সম্পূর্ণ করা হোক। ছ'মাস ভিএলটিডি লাগানোর বিষয়টি বাধ্যতামূলক না করা হলে ভাল হয়। প্রান্তিক গাড়ির মালিকদের মধ্যে ভিএলটিডি লাগানো নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। তাই ছ'মাসের জন্য বিষয়টি থেকে বাধ্যমূলক করার নির্দেশটি তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।’’
অনলাইন ক্যাব অপারেটার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্যানিক বাটন নিয়ে সমস্যা চোখে পড়তেই আমরা সম্মিলিত ভাবে বিষয়টি পরিবহণমন্ত্রীকে জানিয়েছি, যাতে আগামী দিনে কোনও প্রযুক্তি কার্যকর করার আগে যাতে দফতরের কর্তারা সব কিছু ঠিকঠাক রয়েছে কি না, সে বিষয়ে অবগত হতে পারেন।’’