প্রতীকী ছবি
বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে দিল্লি পুলিশ কিছু দিন আগেই ছ’জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। এ বার দেশের বিমান পরিবহণের উপরে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই হামলা চালাতে পারে বলে খবর এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বুরো (আইবি)-র কাছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ভারতের বিভিন্ন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর মধ্যে চর ঢুকিয়ে দিয়ে হানাদারির ছক কষছে আইএসআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, বিভিন্ন অস্ত্র কারখানা ও ডিপো এবং পাওয়ার গ্রিডেও হামলার চক্রান্ত চলছে।
দুর্গাপুজোর আগে জঙ্গি হামলার হুমকি নিয়ে সতর্কবার্তা এসেছে বলে রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পাক গুপ্তচর সংস্থার ষড়যন্ত্র বানচাল করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনী পাল্টা অপারেশন শুরু করে দিয়েছে। দেশের সব গোয়েন্দা বাহিনীকে নিয়ে তৈরি সাবসিডিয়ারি মাল্টি এজেন্সি সেন্টার (এসম্যাক) মারফত বিষয়টি রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতর ও অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান চলাচল ব্যবস্থায় আইএসআই কী ভাবে হানা দিতে পারে, তার আন্দাজও পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের সন্দেহ, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরের এটিসি-র মধ্যে নিজেদের চর ঢুকিয়ে দিতে পারে আইএসআই। তাদের হানাদারির লক্ষ্য বিমানবন্দরের এটিসি-র কম্পিউটার সিস্টেম। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, একটি বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে এবং পেনড্রাইভে পুরে সেই সফটওয়্যার এটিসি-র সিস্টেমে ঢুকিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। যাতে সারা ভারতের বিমান চলাচল ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করে দেওয়া যায়।
গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, পড়শি দেশের গুপ্তচর সংস্থার অভিসন্ধির ব্যাপারে সব বিমানবন্দরের গোয়েন্দা বাহিনীর ইউনিটকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সুরক্ষা এবং তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে সব এটিসি-র ভিতরে প্রবেশ ও প্রস্থানের পথে। পুলিশি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পাঠানো সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আইএসআইয়ের নির্দেশে এ দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে দেওয়ার জন্য পাওয়ার গ্রিডে হামলা চালানোর ছক কষেছে জঙ্গিরা। বিভিন্ন অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি এবং ডিপোতেও হামলার পরিকল্পনা আছে তাদের।
রাজ্যের এক পুলিশকর্তা জানান, দিল্লির আইবি-র ওই সতর্কবার্তা রাজ্য পুলিশের সব শাখায় পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, জঙ্গিরা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, রেলসেতু ও জনবহুল এলাকায় আইইডি বিস্ফোরণের ছক কষেছে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তান থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং আইইডি পাচার করা হচ্ছে।