Ration Distribution Case

হাতে নথি নিয়ে আবার ইডি দফতরে হাজির মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের আপ্তসহায়ক অমিত

সোমবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান অমিত দে। একটি প্যাকেট হাতে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায় অমিতকে। এর আগে, তাঁর বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৩১
photo of amit dey

ইডি দফতরে অমিত দে। —নিজস্ব চিত্র।

রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় আবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির দফতরে গেলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত দে। সোমবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (কলকাতায় যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) যান অমিত। একটি প্যাকেট হাতে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায় অমিতকে। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছ থেকে একটা নথি চেয়েছিল। আমার বাড়ির দলিলের একটা কাগজ দিতে এসেছি।’’

Advertisement

এর আগেও ইডি দফতরে গিয়েছিলেন মন্ত্রীর আপ্ত-সহায়ক। তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। গত ২৬ অক্টোবর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সে দিনই অমিতের নাগেরবাজারের তিনটি ফ্ল্যাটেও হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। তিনটি ফ্ল্যাটই তখন বন্ধ ছিল। স্ত্রী, বৃদ্ধা মা, সন্তানকে নিয়ে ছুটি কাটাতে পুরী গিয়েছিলেন অমিত। ফলে তিনটি ফ্ল্যাটের কোনওটিতেই ঢুকতে পারেননি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। গেটের বাইরে পাহারায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। অপেক্ষা করছিল ইডিও। শেষ পর্যন্ত ভুবনেশ্বর থেকে বিমান ধরে কলকাতায় ফিরে আসেন অমিত। বিমানবন্দর থেকে সপরিবার অমিতকে গাড়িতে চাপিয়ে বাড়ি নিয়ে আসে ইডি। খোলে ফ্ল্যাটের দরজা।

নাগেরবাজারের দু’টি অ্যাপার্টমেন্টে জ্যোতিপ্রিয়ের আপ্তসহায়কের মোট তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে একটি অ্যাপার্টমেন্টের নাম ‘ভালবাসা’। অন্যটির নাম ‘পারুল’। দু’টি অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে ৫০০-৬০০ মিটারের দূরত্ব। তবে ‘পারুল’-এর ফ্ল্যাটে এখন আর থাকেন না অমিত। ‘ভালবাসা’ অ্যাপার্টমেন্টের দু’টি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। সেখানে প্রায় ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় ইডি। এর পর শুক্রবার ইডির দফতরে হাজিরা দেন অমিত। রাতে সেখান থেকে বার হন। তার পর শনিবার ফের তাঁকে তলব করে ইডি। সকালে ইডির দফতরে পৌঁছে যান তিনি। সে দিনের পর সোমবার আবার নথি নিয়ে ইডি দফতরে গেলেন অমিত।

অন্য দিকে, রবিবার ইডি দফতরে গিয়েছিলেন মন্ত্রী-কন্যা প্রিয়দর্শিনী। দুপুর ১টার পর হঠাৎ তাঁকে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায়। হাতে একটি ফাইল ছিল প্রিয়দর্শিনীর। তাতে কিছু নথিপত্র ছিল। ইডি সূত্রে খবর, নথি জমা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রবিবার ইডির কাছে নথি জমা দেওয়া যায়নি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সিজিও থেকে বেরিয়েও আসেন মন্ত্রী-কন্যা। সোমবার সকালে বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে ইডি দফতরে গিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়ের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক।

আরও পড়ুন
Advertisement