Gita Path at Brigade

মোদীর গীতাপাঠ কর্মসূচি নিয়ে সদয় হোক সরকার, মমতার কাছে ‘প্রার্থনা’ আয়োজক সাধু-সন্তদের

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট) ১০ ডিসেম্বরের পরিবর্তে হবে ২৪ ডিসেম্বর। দিন পরিবর্তনের ঘোষণার পর থেকেই গেরুয়া শিবির অভিযোগ তেলে, ‘রাজনীতি’ করতেই এই দিনবদল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪২
Mamata Banerjee.

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

বাকি আর কয়েকটা দিন। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেবেন। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের যৌথ প্রয়াসে হলেও এই কর্মসূচির নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য বিজেপি। ঘটনাচক্রে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট) আবার ওই দিনই। আগে ঠিক ছিল টেট হবে ১০ ডিসেম্বর। কিন্তু গত ৪ ডিসেম্বর দিন বদলের ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

আগে থেকে ঘোষণা করা সত্বেও কেন একই দিনে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দিন ফেলা হল তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। দিন বদলের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে আবেদনও করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তবে আদালতে যেতে চান না আয়োজক সাধু, সন্তরা। সংগঠনের সহ-সভাপতি নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আদালতে যাব না। তবে গীতাপাঠের দিন কোনও ভাবেই পিছনো হবে না। গত বছরেও নবদ্বীপে গীতা জয়ন্তীর পরের রবিবারে অনুষ্ঠান করেছিলাম। এ বার তা আরও বড় আকারে হবে। এমন ভাবে হবে যা, বিশ্বের কোথাও কখনও হয়নি। আমি তাই সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রার্থনা জানাতে চাই, যাতে টেটের দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।’’

প্রসঙ্গত, মোদীর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ওই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকেরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন। ওই দিনে টেট হওয়ায় যানবাহন চলাচলের সমস্যা হবে বলেই মনে করছেন আয়োজকরা। নির্গুণানন্দ বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দিতে চান এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা অনেক আগেই টেটে বসার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাঁরা এখন টেটের জন্য ব্রিগেডে আসতে পারবেন না। অনেক শিক্ষক শিক্ষিকাও রয়েছেন, যাঁরা টেট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়াও পরীক্ষার্থী এবং সনাতন ধর্মের ভক্তদের পথেঘাটে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে। তাই আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী সদয় হয়ে পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দিন।’’

ওই দিনে টেট করার আড়ালে যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে তা-ও বলছেন আয়োজকেরা। এমনকি, ব্রিগেডে গীতাপাঠের যাতে কেউ না আসে তার জন্য শাসক দলের পক্ষে বিভিন্ন জায়গায় ভয় দেখানো, বাস ভাড়া করতে না দেওয়া-সহ নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে কোনও ভাবেই তৃণমূলের নামোচ্চারণ করেননি সাধু-সন্তরা। সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী তথা এই কর্মসূচির সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ বলেন, ‘‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের বন্ধু বা শত্রু নই। আমরা তো শাসক ও বিরোধী দলের সব বিধায়কদেরই আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তৃণমূলের অনেকেই পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।’’

২৪ তারিখ যে টেট হচ্ছে, সেটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রেল। বৃহস্পতিবারই কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই দিন টেটের কারণে রবিবার হলেও সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকে ট্রেন চালানো হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement