এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে ধর্ষণের মামলায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আসানসোল আদালত। সোমবার বিচারক তানিয়া ঘোষ আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। সেই সঙ্গে নির্যাতিতাকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ‘ভিক্টিম ওয়েলফেয়ার ফান্ড’কে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালত সূত্রের খবর, ২০২০ সালের ১১ জুলাই মানসিক ভারসাম্যহীন একটি যুবতী তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা মাকে জানান। বলেছিলেন, পেটে ব্যথা হচ্ছে। মা তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। বিভিন্ন রকম শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, ওই যুবতী অন্তঃসত্ত্বা। অনাগত শিশুর বয়স চার থেকে পাঁচ মাস। শুনেই আকাশ ভেঙে পড়ে মায়ের মাথায়। তিনি মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাতে অভিযুক্ত সম্পর্কে খোঁজ পান।
জানা গিয়েছে, সালানপুর থানার একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে রবি তুড়ি নামে এক প্রতিবেশী মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে ধর্ষণ করেছিলেন। তার পর নির্যাতিতাকে তিনি ভয়ও দেখান। বলা হয়, ওই কথা কাউকে বললে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলবেন। ঘটনাক্রমে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আসানসোল জেলা হাসপাতাল এবং কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মাধ্যমে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা এবং চিকিৎসা হয়। পরীক্ষার পর চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞেরা নিশ্চিত করেন যে ওই যুবতী সত্যিই মানসিক ভারসাম্যহীন।
সংশ্লিষ্ট মামলায় ১৫ জন সাক্ষ্যপ্রদান করেন আদালতে। ওই যুবতী পরে একটি শিশুর জন্ম দেন। শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা হয়। তা অভিযুক্তের ডিএনএ-এর সঙ্গে মিলে যায়। বিচারক সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখে রবিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।