Bangladesh MP Death

বাংলাদেশের সাংসদ-খুনের অন্যতম অভিযুক্ত গ্রেফতার নেপালে, কলকাতায় আনার তোড়জোড় শুরু সিআইডি-র

বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুলের দেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর দেহ খুঁজতে ভারতীয় নৌবাহিনীরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। বাগজোলা খালে আনোয়ারুলের দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ সিআইডি-র।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪ ১৭:০০
One of the accused in the murder of a Bangladeshi MP has been arrested in Nepal

— ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের খুনের ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত সিয়ামকে কাঠমান্ডুতে গ্রেফতার করেছে নেপাল পুলিশ। তাঁর গ্রেফতারির কথা আগেই স্বীকার করেছিল ঢাকার গোয়েন্দা বিভাগ। এ বার কাঠমান্ডু থেকে সিয়ামকে কলকাতায় আনার তোড়জোড় শুরু করেছে এ রাজ্যের সিআইডি।

Advertisement

বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুলের দেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর দেহ খুঁজতে ভারতীয় নৌবাহিনীরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। ভাঙড়ের বাগজোলা খালে আনোয়ারুলের দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ সিআইডি-র। সেই কারণেই একাধিক বার ওই খালে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন রাজ্যের গোয়েন্দারা।

অভিযোগ, বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদকে খুনের পর দেহ টুকরো করা হয়েছে। তার পর তা লোপাট করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, বাগজোলা খালে ফেলা হতে পারে টুকরো। এর আগে আনোয়ারুলের দেহাংশের খোঁজে সাতুলিয়া ও কৃষ্ণমাটি এলাকায় বাগজোলা খালে তল্লাশি চালিয়েছিল সিআইডি-র বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সাংসদ খুনের ঘটনায় ধৃত জিহাদ হাওলাদার ওরফে জ়ুবেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি অফিসারেরা সেই তথ্য জানতে পেরেছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও এখনও আনোয়ারুলের দেহাংশের খোঁজ পায়নি সিআইডি।

এ দিকে, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের খুঁজতে নেপালেও পাড়ি দিয়েছিল সিআইডি-র দল। সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা। এই খুনের মামলার অন্যতম অভিযুক্ত, বাংলাদেশি নাগরিক সিয়ামকে পাকড়াও করতেও ভারত-নেপাল সীমান্তের নানা এলাকায় সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দল খোঁজখবরও চালিয়েছিল।

সিআইডি সূত্রের খবর, এই খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিনের খোঁজ চলছে। অনুমান, শাহিন কলকাতা থেকে নেপাল হয়ে আমেরিকায় পালিয়ে গিয়েছেন। তিনি আমেরিকারই বাসিন্দা। তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আমেরিকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করা হয়েছে। সেই শাহিনেরই অন্যতম প্রধান সহযোগী সিয়াম, কসাই জিহাদকে নিয়ে কয়েক মাস ধরে চিনার পার্কে ফ্ল্যাটেই ছিলেন। এই ফ্ল্যাটটি ছিল শাহিনের নামেই। ২০১৮ সালে এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন শাহিন। সাংসদ-খুনের পরিকল্পনা কার্যকর করার বিভিন্ন ধাপে সিয়ামের কার্যকর ভূমিকা ছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।

অন্য দিকে, বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগও সিয়ামকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। বাংলাদেশের ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ আগেই বলেছিলেন, ‘‘বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে নেপালে চিঠি পাঠিয়ে সিয়ামের অবস্থান বিষয়ে ওদের জানিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement