CV Ananda Bose

রাজ্যপাল শিখবেন অ-আ, তার পরে ক্রমে কথা কওয়া, সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি দেবে দিদির ‘শিশুগুরু’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হবে। ২৬ জানুয়ারি রাজভবনের ‘ইস্ট লন’-এ বিকেল ৫টায় তা আয়োজিত হতে চলেছে। রাজভবনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৩০
রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হবে রাজভবনে। নিজস্ব ছবি।

রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান হবে রাজভবনে। নিজস্ব ছবি।

এ বছর সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি হবে বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই হবে অনুষ্ঠান। ২৬ জানুয়ারি রাজভবনের ‘ইস্ট লন’-এ বিকেল ৫টায়। বুধবার রাজভবনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।

রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বাংলা ভাষা নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছিলেন আনন্দ। বড়দিনেও বাংলা বই লেখার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের শতবর্ষ উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে আনন্দ বলেছিলেন, ‘‘এই বাংলা হল সোনার বাংলা। এখানে শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতির অনেক চর্চা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা গল্প আমি পড়েছি। ছোট্ট মেয়ে মিনির চরিত্রটা আমার মনে দাগ কেটে যায়।’’ রাজ্যপালের সংযোজন ছিল, ‘‘আমি বাংলায় একটা বই লিখব। বাংলার এই সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে আমি অনেক দিন ধরেই পরিচিত। আমাকে এই বাংলা বহু কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমি বাংলার দত্তক পুত্র। বাংলা আজ যা ভাবে গোটা দেশ সেটাই ভাবে। আগামী দিনে এই বাংলাই ভারতকে পথ দেখাবে।’’

Advertisement

শুধু নিজের কথাই নয়, নিজের পরিবারেরও বাংলার প্রতি অনুরাগের কথা বিভিন্ন জায়গায় বলতে দেখা গিয়েছে আনন্দকে। বলেছেন, চেহারায় মালয়ালি হলেও তিনি মন থেকে বাঙালি। বাবা সুভাষচন্দ্র বসুর ভক্ত ছিলেন বলেই তাঁর নামের সঙ্গে ‘বোস’ জুড়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল পদের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই আনন্দ জানিয়েছিলেন, তিনি বাংলা শিখছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একনিষ্ঠ পাঠক’ বোস ‘শপথ’ও করেছিলেন, রোজ একটি করে নতুন বাংলা শব্দ শিখবেন। ধীরে ধীরে ভাঙা বাংলাতেই কলকাতার মানুষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করবেন। এ বার সেই আনন্দের বাংলা ভাষায় হাতেখড়িও হতে চলেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement