TMC Conflict

তৃণমূলের নেতা এবং কর্মীর হাতাহাতি! জমির দখল নিয়ে হুলস্থুল, আহত হয়ে হাসপাতালে

গন্ডগোলে আহত একাধিক ব্যক্তি মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে ইংরেজবাজার থানাতে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ১০:০৫
TMC leader and worker were allegedly fighting for land in Malda

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য মইনুল শেখ এবং তৃণমূল কর্মী মণি শেখকে। —নিজস্ব চিত্র।

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগে শাসকদলের নেতা এবং কর্মীর হাতাহাতির ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল মালদহের ইংরেজবাজারে। অভিযোগ, জমির দখল নিয়েই এই মারামারি। ওই গন্ডগোলে আহত একাধিক ব্যক্তি মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে ইংরেজবাজার থানাতে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য মইনুল শেখ এবং তৃণমূল কর্মী মণি শেখকে। তাঁরা একে অন্যকে মারধর করছেন। পাশের কয়েক জন মইনুল এবং মণিকে বাধা দিচ্ছেন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর মণির অভিযোগ, তাঁর পরিবারের একটি জমি দখল করতে চান মইনুল। তাই দলবল নিয়ে চড়াও হয়েছিলেন তাঁর উপর। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে পরিবারের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। পাল্টা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মইনুলের দাবি, এক দল দুষ্কৃতী এক মহিলাকে অপহরণ করার চেষ্টা করছিল। দেখতে পেয়ে তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁকেই অপহরণ করার চেষ্টা হয়। কিন্তু তাতে তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে মারামারির কী সম্পর্ক, তা বোঝা যায়নি। তবে ওই তৃণমূল নেতা জমি জায়গা সংক্রান্ত কোনও গন্ডগোল হয়নি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী আমার বদনাম করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে আমি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের তরফে যাতে টিকিট না পাই, তাই দলেরই একাংশ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’’

তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে শাসকশিবির। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘‘এটা গ্রাম্য বিবাদের ঘটনা। তবে যাঁরা জনপ্রতিনিধি, তাঁদের এ সব থেকে দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয়।’’

এই গোটা বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষের সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। ওই দলের দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘‘শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যত এগিয়ে আসবে ততই এমন ঘটনা বাড়বে শাসকদলের অভ্যন্তরে।’’

এ নিয়ে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, “১১ মার্চ একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার তদন্ত চলছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement