Cooch Behar

মাথাভাঙায় পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে ভাঙচুর হল প্রধানের চেয়ার-টেবিল, তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি ‘যুদ্ধ’

পঞ্চায়েত অফিস থেকে বিধায়ক এবং বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যেরা বেরিয়ে যাওয়ার পরে প্রধানের বসার চেয়ার বাইরে এনে তৃণমূল ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, পুরো কাণ্ড হয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মাথাভাঙা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৫২

—প্রতীকী চিত্র।

পঞ্চায়েত দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে উত্তেজনা কোচবিহারের মাথাভাঙায়। শুক্রবার মাথাভাঙা-২ ব্লকের বড় শোলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা অশান্তির জন্য পদ্মশিবিরকে দুষল শাসকদল।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড় শোলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসন পায় বিজেপি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে পঞ্চায়েত গঠন করে তারা। কিন্তু প্রথম দফায় দুই এবং গত ১ অক্টোবর গঙ্গাধর মণ্ডল নামে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় উল্টে যায় হিসাব। এখন ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রতিনিধি ১২ এবং বিজেপির সদস্যসংখ্যা ১১। ওই নিয়ে শোরগোলের মাঝে আবার গঙ্গাধর ফিরে গিয়েছেন বিজেপিতে। শুক্রবার মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মণের নেতৃত্বে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েত অফিসে যান। উল্টো দিকে ঠিক ওই সময়ে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত করে তৃণমূল। বাড়তে থাকে উত্তেজনা।

পঞ্চায়েত অফিস থেকে বিধায়ক এবং বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যেরা বেরিয়ে যাওয়ার পরে প্রধানের বসার চেয়ার বাইরে এনে তৃণমূল ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। প্রধানের কক্ষে থাকা টেবিলও ভাঙা হয়। বিজেপির দাবি, এই পুরো কাণ্ডটাই হয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতে। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপই করেনি। বড় শোলমারির পঞ্চায়েত প্রধান জয়ন্ত দে বলেন, ‘‘আমাদের সদস্যদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে। গঙ্গাধর মণ্ডল নামে আমাদের এক সদস্যকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। তাঁকে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছিল। ছাড়া পেতেই আবার বিজেপিতে যোগদান করেছেন গঙ্গাধর।’’ প্রধান জানান, শুক্রবার দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে তিনি অফিসে গিয়েছিলেন। হঠাৎই তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করেন। বিনা কারণে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করা হয়। পরে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। জয়ন্ত বলেন, ‘‘বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল ওখানে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অধিকার তৃণমূলের লোকজনকে কে দিয়েছে? আর তারা যখন ওই ভাঙচুর চালাচ্ছে, তখন পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। যেখানে পুলিশের উচিত ছিল প্রত্যেককে গ্রেফতার করা।’’

এ নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি একের পর এক অভিযোগ করলেও তৃণমূলের মাথাভাঙা-২ ব্লকের সভাপতি সাবলু বর্মণ বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন। তৃণমূলকর্মীরা কোথাও কোনও ভাঙচুর করেননি। বিজেপি নিজেরাই এই সব করেছে। তার পরে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement