—প্রতীকী চিত্র।
গরম পড়তেই পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙা, চ্যাংমারি, মৌলানি ও চাপাডাঙা এবং ক্রান্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, সরকারি জল পরিষেবার মাধ্যমে পরিশ্রুত জলের সরবরাহ নেই রাজাডাঙা পঞ্চায়েতের চা বাগান ও জঙ্গল লাগোয়া একাধিক বনবস্তি এলাকায়। ফলে দীর্ঘদিন নলকূপের বাড়তি লোহা মিশ্রিত জল অথবা কুয়োর জল পান করছেন তাঁরা। অপরিশ্রুত, আয়রন মিশ্রিত জল পান করার ফলে পেটের নানা রকম জটিল রোগে ভুগছেন তাঁদের অনেকে।
এ দিকে, ক্রান্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজার কালীবাড়ি, রহমতটারি এলাকায় জলের পাইপলাইন ও কল থাকলেও, সেই কল থেকে জল পড়ে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ব্লকের শান্তিরমিল, দাসের মোড়, বিদুরের ডাঙার মতো বিভিন্ন এলাকাতেও বাসিন্দাদের ভরসা নলকূপ বা কুয়োর জল। মেচবস্তির বাসিন্দা সঞ্জয় শৈব বলেছেন, ‘‘জন্মের পর থেকেই আমরা নলকূপ এবং কুয়োর জল পান করে আসছি। বাম সরকারের সময় থেকে পরিশ্রুত পানীয় জলের প্রতিশ্রুতির কথা শুনে আসছি। বাড়তি লোহা মিশ্রিত জলপান করায় সারা বছর পেটের অসুখ লেগেই থাকে।’’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায় বলেন, ‘‘বাড়ি-বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্লকে ১৮টি রিজার্ভার তৈরি হচ্ছে। এর আশি শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক মতো আর্থিক সহায়তা না করায় প্রকল্প বাস্তবায়নে একটু বিলম্ব হচ্ছে।’’
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মালবাজার ব্লক আধিকারিক অভিষেক মালাকার বলেছেন, ‘‘বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাগুলি কাজে গড়িমসি করার জন্যই জল সরবরাহে দেরি হচ্ছে। তবে আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে জল সরবরাহ শুরু করা যাবে।’’