West Bengal Panchayat Election 2023

তৃণমূল বিধায়ক বনাম জেলা সভাপতির অনুগামীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত ইসলামপুর! আহত অন্তত ১২ জন

মঙ্গলবার প্রচার শেষে স্থানীয় একটি দোকানে যান তৃণমূল প্রার্থী রাখি বসাক রায়ের স্বামী স্বপন বসাক। সেই সময় নির্দল সমর্থকেরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩ ১৩:৫৮
Row over TMC MLA and TMC district president’s followers clash in Islampur

ইসলামপুরের অশান্তিস্থলে চলছে কড়া প্রহরা। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবারও উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। এ বার জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল গোষ্ঠীর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামীদের সংঘর্ষে জখম হলেন অন্তত ১২ জন। গুরুতর জখম হয়েছেন পাঁচ জন। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের রামগঞ্জ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বসাকপাড়া এলাকায়। গুরুতর আহতদের ভর্তি করানো হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার প্রচার শেষে স্থানীয় একটি দোকানে যান তৃণমূল প্রার্থী রাখি বসাক রায়ের স্বামী স্বপন বসাক। সেই সময় নির্দল সমর্থকেরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলেও অভিযোগ। তার পরই তৃণমূল এবং নির্দল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একে অপরের দিকে ইটবৃষ্টি শুরু করেন তাঁরা। গুলি চালানো এবং বোমাবাজিও হয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয়েরা।

Advertisement

নির্দল প্রার্থীর আত্মীয় সুনীতি বসাকের কথায়, ‘‘মৌসুমী বসাক নির্দলের প্রার্থী হয়েছে। আমরা বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী। স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী স্বপন বসাক এবং তাঁর লোকজন এসে মৌসুমীর দোকানের উপরে হামলা চালান। মারধর করা হয় পরিবারের লোকজনদের।’’ তাঁর অভিযোগ, পুরো ঘটনা যাঁরা ঘটাল, তাদের না ধরে পুলিশ নির্দল সমর্থকদেরই থানায় নিয়ে যায়। এমনকি, নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করায় রামু বসাক নামে এক বৃদ্ধকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

অন্য দিকে, তৃণমূল প্রার্থী রাখির স্বামী স্বপন বসাক বলেন, ‘‘আমরা তৃণমূলের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলাম। সেই সময় স্থানীয় একটি দোকানে সিগারেট কেনার সময় আমাকে মারধর করা হয়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় আমার।’’ তিনি জানান, ঘটনাস্থলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। বোমা, পিস্তল নিয়ে নির্দল কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের ওপরে চড়াও হন।

সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইসলামপুর থানার পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এলাকায়।

Advertisement
আরও পড়ুন