TMC

Malda: পুকুর ‘চুরি’! তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৫২ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ১০০ দিনের কাজে

দুর্নীতির অভিযোগ ওই পঞ্চায়েতে আগেও উঠেছে। আবারও সরকারি টাকা তছরুপের অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।  

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৩৪
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ।

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

মালদহ জেলার চাঁচলে ন’টি পুকুর ‘চুরি’র অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা তছরুপ করেছেন শাসক দলের নেতারা। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত। এখানকার পঞ্চায়েত প্রধান-সহ কর্মীদের বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগে সরব স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দাদের নামে মোট ন’টি পুকুর খননের অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল। ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে এক একটি পুকুর খননের জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ হয়। পাশাপাশি, ওই এলাকায় জল নিকাশির জন্য আরও ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনও কাজ না করে ওই প্রকল্পের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে ৫২ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। আর এখানে মূল অভিযুক্ত হিসেবে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান পারভিনা খাতুনকে। এ নিয়ে ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা মর্তুজা আলম প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

ওই একই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এর আগে কলা চাষ-সহ দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে আগেও সরব হন এলাকার বাসিন্দা থেকে বিরোধী দলের নেতারা। ফের ওই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন তাঁরা। ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ হায়াত উদ্দিন বলেন, ‘‘আমার জায়গায় একটি পুকুর খননের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল। কাজের বোর্ড লাগানো রয়েছে। কিন্তু প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও পুকুর খনন হয়নি।’’ পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সদস্য মর্তুজা আলমের মন্তব্য, ‘‘এই পঞ্চায়েতে প্রতিটি কাজে দুর্নীতি হয়। এর আগে একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে। কাজ না করেই সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান-সহ পঞ্চায়েতের কর্মীরা।’’ বিজেপির মালদহ জেলার যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সুমিত সরকার বলেন, ‘‘খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের কর্মীরা।

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, দুর্নীতি করলে দল পাশে দাঁড়াবে না। চাঁচল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দুর্নীতি করলে দল পাশে দাঁড়াবে না। প্রশাসন তদন্ত করুক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement