School

উৎসবের ছুটির পরে হাজিরা কমেছে প্রাথমিকে

শিক্ষকদের দাবি, জুনিয়র ও হাই স্কুল প্রায় এক মাস বন্ধ ছিল। ফলে প্রথম দিন হওয়ায় পড়ুয়াদের উপস্থিতি কম। পাশাপাশি, বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছট পুজোর ছুটি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৬
স্কুল খুললেও উপস্থিতি কম।

স্কুল খুললেও উপস্থিতি কম। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৩। হাজির হয়েছে মাত্র ১৬ জন। উৎসবের ছুটির পরে প্রথম দিন মঙ্গলবার এমনই ছবি ইংরেজবাজারের বিনোদপুর জুনিয়র হাই স্কুলের। শুধু বিনোদপুর জুনিয়ার হাই স্কুলে নয়, গৌড়বঙ্গের একাধিক স্কুলে প্রথম দিন এমন ছবিই ধরা পড়েছে বলে জানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকেরা। দ্রুত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে অনেক স্কুল।

Advertisement

মালদহের সিংহভাগ হাই ও প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় কম ছিল অনেকটাই। শিক্ষকদের দাবি, জুনিয়র ও হাই স্কুল প্রায় এক মাস বন্ধ ছিল। ফলে প্রথম দিন হওয়ায় পড়ুয়াদের উপস্থিতি কম। পাশাপাশি, বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছট পুজোর ছুটি। বহু এলাকায় এখনও কালীপুজো উপলক্ষে মেলা চলছে। তাই স্কুল খুললেও উপস্থিতি কম। মালদহে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান বাসন্তী বর্মন বলেন, ‘‘আশা করছি দ্রুত স্কুল স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে। পড়ুয়াদের উপস্থিতিও বাড়বে। বিষয়টি শিক্ষকদের গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন হাই স্কুলে দশম শ্রেণিতে ১২১ জন পড়ুয়া। কিন্তু মঙ্গলবার স্কুলে হাজির মাত্র এক জন। শহরের স্কুলগুলিতে উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি থাকলেও গ্রামের স্কুলে এই ছবি দেখা গিয়েছে। গঙ্গারামপুর মহকুমা লোহাগঞ্জ হাই স্কুলের উপস্থিতির হার ০ শতাংশ। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃণালকান্তি কর্মকার বলেন, ‘‘সামনেই পরীক্ষা। আমরা শীঘ্রই রুটিন প্রকাশ করব। স্কুলে আসা খুব জরুরি।’’ জেলা স্কুল পরিদর্শক নিতাই দাস বলেন দু’-এক দিন দেখে তার পরে পদক্ষেপ করব।’’

উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও এই দিন ছিল একই চিত্র। চাকুলিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব দে এই প্রসঙ্গে বলেন, “স্কুলে গড়ে ৬০-৭০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী হাজির হলেও স্কুল খোলার পরে উপস্থিত হয়েছে ২০-৩০ শতাংশ পড়ুয়া।’’ ইসলামপুর করণদিঘি গোয়ালপোখরের মতো এলাকাতেও উপস্থিতির হার কম ছিল স্কুলে। করণদিঘির একটি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথায়, “স্কুলে গড়ে ৭০ শতাংশ পড়ুয়ার উপস্থিতি কম থাকলে পাঠ্যক্রম কী ভাবে শেষ করা যাবে, তা চিন্তার।’’ হাজিরার হার বেশি না হলে পুরোদমে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন শিক্ষকেরা।

তথ্য: শান্তশ্রী মজুমদার, অভিজিৎ সাহা, অভিজিৎ পাল ও মেহেদি হেদায়েতুল্লা

আরও পড়ুন
Advertisement