Siliguri

আনারস উন্নয়ন কেন্দ্র ‘বিশ বাঁও জলে’, চিন্তা

এসজেডিএ সূত্রে খবর, আনারস উন্নয়ন কেন্দ্র চালুর জন্য নতুন করে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জমি দিতেও রাজি হয়েছেন।

Advertisement
নীতেশ বর্মণ
শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ০৯:০৭
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

হিমঘরের দেওয়াল ঘিরেছে জঙ্গল। স্টলগুলির লোহার দরজা মরচে পড়ে ভগ্নপ্রায়। মূল্যবান যন্ত্রগুলিও নষ্টের মুখে। এ ভাবেই পড়ে রয়েছে শিলিগুড়ির বিধাননগরের আনারস উন্নয়ন কেন্দ্র। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে সেটি ফের চালু করার চেষ্টা করছেন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তৈরি হওয়ার পনেরো বছর পরেও প্রকল্প চালু না হওয়ায় সরকারি টাকা নষ্টের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ভোটের আগে চালু করার প্রক্রিয়ায় রাজনীতিও দেখছে তারা।

Advertisement

এসজেডিএ সূত্রে খবর, আনারস উন্নয়ন কেন্দ্র চালুর জন্য নতুন করে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জমি দিতেও রাজি হয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে একপ্রস্ত কথা বলা শেষ হয়েছে। নতুন রাস্তা তৈরির জন্য ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ভেবেছেন এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, আনারস উন্নয়ন কেন্দ্রে যাতায়াতের রাস্তা চওড়া করার জন্য জমির অভাব ছিল। জমি পাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন টালবাহানার জেরে সেই রাস্তা আর তৈরি হয়নি।

একসময় আনারস চাষি হিসেবে পরিচিত এবং বর্তমানে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অরুণ মণ্ডলের অভিযোগ, শুধু রাস্তার জন্য প্রকল্প চালু হয়নি তা একেবারে সত্যি নয়। কারণ, যে সরু রাস্তার কথা বলা হচ্ছে, সেটি দিয়েই বড় বড় ট্রাকে প্রকল্পের সামগ্রী সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাস্তবে পরিকল্পনার অভাবেই ওই প্রকল্প চালু করা যায়নি। ফলে সরকারি টাকা নষ্ট হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের একাংশের অনীহার অভিযোগও উঠেছিল। স্টল নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন অনেকে। অরুণের বক্তব্য, ‘‘রাস্তা তৈরি করে ফের দুর্নীতি, সরকারি টাকার অপচয় করা হবে। প্রকল্প আর চালু হবে না। ভোটের আগে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি।’’

এসজেডিএ সদস্য কাজল ঘোষ বলেন, ‘‘চাষিদের উন্নয়নে রাজ্য সরকার প্রকল্প চালু করেছিল। নানা কারণে বন্ধ থাকলেও সেটি ফের চালু করা হবে। বিজেপি চাষিদের জন্য কিছুই করেনি। তাই তাঁরা চাষিদের কথা বুঝবেন না।’’

আনারস চাষিদের একাংশের অভিযোগ, ফলন বেশি হলে দাম কমে যায়। ভিন্‌ রাজ্যের ব্যবসায়ীরা ফসল না নিলেও চাহিদা থাকে না। দুই সমস্যারই সমাধানে আনারস উন্নয়ন কেন্দ্রের দাবি উঠেছিল। সেখানে আনারস নিলাম কেন্দ্র থেকে প্রক্রিয়াকরণ করে রস, নানা সামগ্রী তৈরি করে বাজারজাত করার কথা ছিল। হিমঘরে রেখে চাহিদামতো জোগান দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। তাতে ভাল লাভের আশায় ছিলেন চাষিরা।

অভিযোগ, ওই প্রকল্প তৈরির পরে সেখানে ব্যবসায়ীদের অনেকে বাজার বসাননি। যাতায়াতের রাস্তাও ঠিক ছিল না। রাস্তা তৈরিতে স্থানীয়দের
একাংশ জমি দিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। বর্তমানে বিধাননগর বাজারের কাছে আনারসের বাজার রয়েছে। ভিমবারে আনারস উন্নয়ন কেন্দ্রে বাজার সরালে বিধাননগরের মূল বাজারের ব্যবসায় কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে অভিযোগ।

Advertisement
আরও পড়ুন