— প্রতীকী চিত্র।
ভোটাভুটিতে জেলা সম্পাদক হেরে যাওয়ার মতো ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটলেও উত্তর ২৪ পরগনার সমস্যার আপাতত মীমাংসা হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দলের অভ্যন্তরীণ বিবাদের এখনও চূড়ান্ত রফা-সূত্র বার করতে পারল না সিপিএম।
বয়সে তরুণ এবং সর্বক্ষণের কর্মী, এই দুই গোত্রের চার জনকে নতুন জেলা কমিটি থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিরোধ বেধেছিল সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলনে। জেলা কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ১৭ জন। তাঁদের ছাড়া জেলা কমিটিতে আছেন ৪৮ জন। সমাধান-সূত্র নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে বারুইপুরে সোমবার দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর আরও তিন সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তী ও শমীক লাহিড়ী। সূত্রের খবর, বাইরে থাকা ১৭ জনকে জেলা কমিটিতে নেওয়ার কথাই জেলা নেতৃত্বকে বলে এসেছেন রাজ্য নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে যে চার জনকে বাদ দেওয়া ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত, তাঁদের মধ্যে যে কোনও দু’জনকে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এই সূত্রের কথাই আগে ঠিক করেছিল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী।
কিন্তু এই সূত্রে মীমাংসা হওয়ার লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। প্রথমত, সম্মেলনে যাঁরা ‘বিদ্রোহ’ করেছিলেন, সেই ১৭ জন বৈঠকে ছিলেন না। তাঁদের দিকের বক্তব্য রাজ্য নেতৃত্বের শোনার সুযোগ হয়নি। দ্বিতীয়ত, চার জনের মধ্যে দু’জনকে কোন মাপকাঠিতে বেছে নেওয়া হবে, তা-ও স্পষ্ট নয়! জেলার এক নেতার কথায়, ‘‘চার জনকে বাদ দেওয়া নিয়ে নির্দিষ্ট কারণে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তাঁদের বাদ রেখে কয়েক জনকে আবার একতরফা ভাবে কমিটিতে নেওয়া হয়েছিল। যুক্তিসঙ্গত সমাধান না-পেলে কী ভাবে সমস্যা মেটা সম্ভব?’’ আবার অন্য একাংশের মত, জেলা কমিটিতে ‘বিদ্রোহী’ ১৭ জন। কিন্তু উল্টো দিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য। তা হলে তাঁদের মত মানা হবে না কেন? সূত্রের খবর, পার্টি কংগ্রেসের পরে আবার পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হতে পারে।