Chinsurah

ধৰ্মই হাতিয়ার! প্রশ্নে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড 

রাজ্যের দুই প্রধান দলের এই আকচা-আকচিতে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কি তবে শুধু ধর্মই হাতিয়ার!

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫ ০৮:৪৬
সোমবার চুঁচুড়ায়। বিজেপির পোস্টার।

সোমবার চুঁচুড়ায়। বিজেপির পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।

গত সপ্তাহে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘চ্যাংদোলা’ মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। রবিবার চুঁচুড়ার বিভিন্ন প্রান্তে ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই, ২০২৬ এ বার বিজেপি চাই’ লেখা ব্যানারেও সেই ধর্মের গন্ধ! আবার, সোমবার সকালে ওই ব্যানারের প্রতিবাদে সরব হয়ে তৃণমূল বিধায়কের 'সর্ব ধর্ম সমন্বয় যাত্রা'য় উঠল ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, ২০২৬-এ দিদিকে চাই’ স্লোগান।

Advertisement

রাজ্যের দুই প্রধান দলের এই আকচা-আকচিতে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কি তবে শুধু ধর্মই হাতিয়ার!

রবিবার শহরের ঘড়ির মোড়, খাদিনা মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দলীয় প্রতীক-সহ বিজেপির ওই ব্যানার সকলের নজরে পড়ে। দলের পক্ষ থেকেই ওই ব্যানার টাঙানো হয়েছে বলে না মানলেও সেখানের লিখনকে সমর্থন করছেন হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয়রা সবাই হিন্দু। তাই হিন্দুকে একটি ধর্মের তকমা দেওয়া উচিত নয়। বিজেপি থাকলে সকলের উন্নতি হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা দেশের মধ্যে এক মাত্র ধর্ম নিরপেক্ষ দল। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তৃণমূল।’’

যদিও বিজেপির ব্যানার নিয়েই সরব হন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সোমবার সকালে ঘড়ির মোড় থেকে খড়ুয়াবাজার পর্যন্ত পাল্টা মিছিল করেন তিনি। ‘সর্ব ধর্ম সমন্বয় যাত্রা’ নামক সেই মিছিলে তৃণমূল নেতা কর্মীদের সঙ্গে পা মেলান শহরের বিভিন্ন ধর্মগুরুরা। তাঁদের দাবি, ‘‘আমরা কেউ তৃণমূল করি না। সর্ব-ধর্ম সমন্বয়ের মিছিল শুনে এসেছি।’’

কিন্তু এ দিন সেই মিছিলেই 'দিদিকে চাই' স্লোগান ওঠে। এ নিয়ে ধর্ম গুরুদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, অসিত এতে কোনও দোষ দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘‘সব ধর্মের মানুষেরই দিদিকে প্রয়োজন। দিদি থাকলে সবাই ভাল থাকবেন।’’

Advertisement
আরও পড়ুন