Malda Medical College and Hospital

মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ, তুমুল অশান্তি, ধৃত মৃতের চার আত্মীয়

রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তুমুল অশান্তি হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। রোগীর পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ভাঙচুর এবং চার জুনিয়র চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ তোলা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৭:১০
Police arrested 4 kith and kin of Deceased patient for beaten doctors in Malda Medical College and Hospital

ধৃতদের আদালতে তোলে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। চিকিৎসকদের উপর হেনস্থার অভিযোগে সাময়িক ভাবে কর্মবিরতি শুরু হয় হাসপাতালে। অবশেষে পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পর আবার রোগী দেখা শুরু করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের মারধর, হেনস্থার অভিযোগে মৃত রোগীর চার আত্মীয় শান্তনু ঘোষ, চাঁদ ঘোষ, বাপন ঘোষ এবং রাজু ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার সাপে কাটা এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তুমুল অশান্তি হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। রোগীর পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে। অন্য দিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ভাঙচুর এবং চার জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগ তোলা হয়। চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগে কর্মবিরতি শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এর পর মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সুপার পুরঞ্জয় সাহার সঙ্গে বৈঠক হয় তাদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি এফআইআর দায়ের হয়। অন্য দিকে, পুলিশি আশ্বাসে আবার কাজ শুরু করেন চিকিৎসকেরা। এর মধ্যে মৃতের চার আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে পুরাতন মালদহের এক রোগীর হাসপাতালে মৃত্যু হলে উত্তেজনা ছড়ায়। এর পর নিরাপত্তার দাবি নিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা ছেড়ে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাঁদের অভিযোগ, সিনিয়র চিকিৎসকেরা কখনও তাঁদের সঙ্গে থাকেন না। এমনকি কোনও নিরাপত্তারক্ষীও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন না। বার বার রোগীকে পরিষেবা দেওয়ার সময় রোগীর পরিবারের সদস্যদের হাতে হেনস্থা হতে হয় তাঁদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যত ক্ষণ না তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন এবং নিয়মিত ডিউটির সময় সিনিয়র চিকিৎসকদের উপস্থিত থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তত ক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান চলবে। ওই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement