Junior Doctors Human Chain

মন্ত্রী সুজিত বসুর গাড়িতে চড়-থাপ্পড়, ডিসি ইন্দিরাকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, মানববন্ধনে উত্তপ্ত ধর্মতলা

সুজিতের অভিযোগ, তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোতলও ছোড়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের পাল্টা অভিযোগ, মানববন্ধন হচ্ছে দেখেও মানুষের প্রায় ঘাড়ের উপর দিয়ে যাচ্ছিল মন্ত্রী সুজিতের গাড়ি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩৮
Demonstrations surround Minister Sujit Bose and DC Central Indira Mukherjee during the human chain program at the call of junior doctors

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

কার্নিভালে প্রতিমা প্রদর্শন শেষে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে ফিরছিল লরি। পিছনেই ছিল রাজ্যের মন্ত্রী তথা ক্লাবকর্তা সুজিত বসুর গাড়ি। ধর্মতলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই সময়ে চলছিল জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে মানববন্ধন। সুজিতকে গাড়িতে দেখেই ক্ষোভ উগরে দেয় মানববন্ধনে দাঁড়ানো জনতা। একসঙ্গে কয়েকশো লোককে ধেয়ে যেতে দেখা যায় গাড়ির দিকে। সুজিতের অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে বোতলও ছোড়া হয়েছে। ওই ঘটনা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ধর্মতলা মোড়ে। তবে সুজিতের গাড়ি থামেনি। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে গাড়ি নিয়ে সোজা এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। চলন্ত গাড়িরই পিছনের অংশে চড়-থাপ্পড় মারেন কেউ কেউ।

Advertisement

এই ঘটনা নিয়ে সুজিত বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে। কিন্তু এটা কী ধরনের অসভ্যতা! গাড়িতে আক্রমণ করবে?’’ সুজিত আরও বলেন, ‘‘ওদের থেকে আমাদের পুজোর লোক অনেক বেশি ছিল। ওখানে যদি পাল্টা হত, তা হলে কি ভাল হত! আমি চাইনি পুজোর মধ্যে ঘটনাটা বাড়তে দিতে।’’ সুজিত চলে যাওয়ার খানিক ক্ষণ পরে সেখানে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে সমবেত জনতার মধ্যে থেকে।

যদিও আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, মানববন্ধন হচ্ছে দেখেও মানুষের প্রায় ঘাড়ের উপর দিয়ে যাচ্ছিল সুজিতের গাড়ি। হালতুর বাসিন্দা নবনীতা দাস যোগ দিতে এসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকা মানববন্ধনে যোগ দিতে। তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রী বলে কি মানুষকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে দেবেন! ওঁর গাড়ি যে ভাবে গিয়েছে তাতে এক সুতোর এ দিক-ও দিক হলেই আমার পা পিষে যেত।’’

অনেকের মতে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে সার্বিক ক্ষোভই বিভিন্ন ভাবে আছড়ে পড়েছে রানি রাসমণি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। এক দিকে দ্রোহের কার্নিভাল, অন্য দিকে একই জায়গায় মানববন্ধন— মঙ্গলবার ধর্মতলা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন
Advertisement