সচেতনতায় লজর স্বাস্থ্য দফতরের
Scrub Typhus

উদ্বেগ স্ক্রাব টাইফাস সংক্রমণেও

রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সুপার তথা সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায় জানিয়েছেন, ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগের নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে ওই রোগে আক্রান্তদের ভর্তি রেখে অ্যান্টিবায়োটিক-সহ বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement
গৌর আচার্য 
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৪২

—প্রতীকী চিত্র।

উত্তর দিনাজপুরে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি, এ বার জেলায় ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ফলে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত এক মাসে জেলায় রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর মহকুমা মিলিয়ে ৪৬ জন ‘স্ক্রাব টাইফাস’-এ আক্রান্ত। এর মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত গত ৪৮ ঘণ্টায় ১১ জনের শরীরে ওই রোগের সংক্রমণ মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল-সহ জেলার নানা সরকারি হাসপাতালে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পেটের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়া রোগীদের ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি, ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে।

রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সুপার তথা সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায় জানিয়েছেন, ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগের নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে ওই রোগে আক্রান্তদের ভর্তি রেখে অ্যান্টিবায়োটিক-সহ বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মতো ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগের প্রধান উপসর্গ হল, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পেটের সমস্যা। প্রিয়ঙ্কর বলেন, “তবে স্ক্রাব টাইফাস রোগ ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়ার মতো মশার কামড়ে ছড়ায় না।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণকুমার শর্মার দাবি, বর্তমানে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পেটের সমস্যা-সহ আরও বেশ কিছু উপসর্গ নিয়ে রোগীরা মেডিক্যাল, ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাস-সহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও কিংবা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করাতে গেলে তাঁদের ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগ নির্ণয়েরও পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত জেলার ন’টি ব্লক মিলিয়ে ৩৫ জন বাসিন্দা ডেঙ্গি ও ৪০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণত, জঙ্গল, জমি ও বিভিন্ন পশুর দেহে আশ্রয়কারী এক ধরনের পোকার কামড়ে বাসিন্দারা ‘স্ক্রাব টাইফাস’-এ আক্রান্ত হন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এ দিন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “মূলত, বর্ষাকালে মশার কামড়ে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া এবং পোকার কামড়ে ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রশাসনিক সহযোগিতায় জেলার ন’টি ব্লকে মশা ও পোকার বংশবিস্তার রুখতে আবর্জনা সাফাই, জমা জল পরিষ্কার-সহ এলাকার বাসিন্দাদের নানা ভাবে সচেতন করার কাজ চলছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement