—প্রতীকী চিত্র।
বিতর্কিত স্যালাইন বন্ধ হতেই ‘লোকাল পারচেজ়’ অর্থাৎ স্থানীয় ভাবে ওই স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট) কিনবে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ। সরকারি তালিকাভুক্ত ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’ এত দিন তা হাসপাতালগুলিতে সরবরাহ করত। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং আরও কয়েক জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই স্যালাইনের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হাসপাতালগুলির কোনওটিতে মাসে ১২ হাজার, কোথাও ১৫ হাজার ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইনের দরকার হয়। ৭ জানুয়ারি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকায় হাসপাতালগুলিকে ‘ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিস প্রাইভেট লিমিটেড’ থেকে স্যালাইন কিনতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের একাংশ জানিয়েছেন, নতুন যে সংস্থার কথা জানানো হয়েছে, তারা ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন তৈরিই করে না।
জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খান বলেন, ‘‘স্থানীয় ভাবে এখন রিঙ্গার্স ল্যাকটেট কিনে পরিস্থিতি সামলাতে হচ্ছে।’’ একই সমস্যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ‘‘নতুন যে সংস্থার নাম জানানো হয়েছে, তারা রিঙ্গার্স ল্যাকটেট তৈরি করে না। স্থানীয় ভাবেই তা
কিনতে হচ্ছে।’’