—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রেনে উঠেছিলেন। গন্তব্য ছিল কলেজ। কিন্তু আর খোঁজ মেলেনি ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর। ঝাড়খণ্ড যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মালদহের ওই ছাত্রী। তাঁর কিছু জিনিসপত্র মিলেছে ফরাক্কা সেতুতে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা দীপ্তি ভগত। পড়াশোনা করেন ঝাড়খণ্ডের দুমকার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। সেখানে হস্টেলে থাকেন। রবিবার মালদহের বাড়ি থেকে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু দুমকায় পৌঁছননি তিনি। পরিবারের দাবি, হরিশ্চন্দ্রপুর রেলস্টেশন থেকে কুলিক এক্সপ্রেস ধরেছিলেন ওই ছাত্রী। বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশনে নেমে সেখান থেকে দুমকা যাওয়ার ট্রেনে ওঠার কথা ছিল তাঁর। ট্রেন যখন মালদহ স্টেশনের কাছে তখন এক বার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা হয় দীপ্তির। কিন্তু তার পর আর তাঁর খোঁজ মেলেনি। পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা সেতুর কাছে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে ছিল মোবাইল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম। এনটিপিসি ফাঁড়িতে জমা হয়েছে সেই সমস্ত জিনিস। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে জিনিসগুলি দীপ্তিরই। ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তার পর থেকে দুশ্চিন্তায় ওই পরিবার। দীপ্তি কোথায় আছেন, কেমন আছেন, জানতে বার বার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু এখনও তাঁর খোঁজ মেলেনি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীর খোঁজ চলছে। এখনও কোনও সূত্র পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য দিকে, পরিবারের আশঙ্কা, দীপ্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। মেয়েকে পাচার করে দেওয়া হতে পারে বলেও মনে করছেন তারা। তবে পুলিশের উপর ভরসা রেখেছে ভগত পরিবার।