Uttarkashi Tunnel Rescue Operation

১০ দিন ধরে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে তুফানগঞ্জের মানিক, উদ্বেগে অসুস্থ স্ত্রী ভর্তি হাসপাতালে

উত্তরাখণ্ডে উদ্ধারকাজে নেমেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে ৬ ইঞ্চি পাইপলাইনের মাধ্যমে আটক শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে প্রশাসন। অনেকেই কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
তুফানগঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৬
image of uttarakahand tunnel

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে রয়েছেন তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদার। — ফাইল চিত্র।

উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে গত ১০ দিন ধরে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদার। মঙ্গলবার আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে প্রশাসন। তার পরেও যদিও উদ্বেগ কমেনি পরিবারের সদস্যদের। আর সেই উদ্বেগের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লেন মানিকের স্ত্রী সোমা তালুকদার। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

উত্তরাখণ্ডে উদ্ধারকাজে নেমেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে ৬ ইঞ্চি পাইপলাইনের মাধ্যমে আটক শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে প্রশাসন। অনেকেই কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গে। মানিকের সঙ্গে কথা বলা না গেলেও তাঁর পরিবার আশাবাদী, তিনি সুস্থ রয়েছেন। ছেলে মণি তালুকদার জানিয়েছেন, প্রশাসনকে মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করবেন। চেষ্টা করবেন, অন্তত এক বার যাতে তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তুফানগঞ্জে মানিকের পরিবারের পাশে রয়েছে কোচবিহারের প্রশাসন। নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সোমবার মানিকের স্ত্রী সোমা অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উদ্ধারকারীরা পাইপের মাধ্যমে এন্ডোস্কোপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরা সুড়ঙ্গের ভিতর পাঠিয়েছিলেন। তাতেই আটকে পড়া শ্রমিকদের ভিডিয়োটি ধরা পড়েছে। সোমবার নতুন পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গের ভিতর পাঠানো হয়েছে একটি মোবাইল ফোন এবং চার্জার। তার মাধ্যমে বাইরে প্রশাসন এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন শ্রমিকেরা। পাইপ দিয়ে সোমবার শ্রমিকদের কাছে খিচুড়ি, ডালিয়া এবং নানা রকম ফলও পাঠানো হয়েছে।

আটক শ্রমিকদের উদ্ধার নিয়ে উদ্বেগে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল। সুড়ঙ্গের অন্তত ৬০ মিটার গভীরে শ্রমিকেরা আটকে আছেন। এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৪ মিটার খোঁড়া গিয়েছে। নানা দিক থেকে ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশ থেকে সম্ভব না হলে উপর দিক থেকেও মাটি খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে। শ্রমিকদের উদ্ধার করতে আরও চার থেকে পাঁচ দিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা।

আরও পড়ুন
Advertisement