Winter In North Bengal

শীতের দাপট বাড়ল উত্তরে

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শুধু নয়, কোচবিহারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও গত ২৪ ঘন্টায় কমেছে। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭.৫ ডিগ্রি।

Advertisement
অরিন্দম সাহা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫০
উষ্ণতা পেতে আগুন পোহানো আলিপুরদুয়ার শহরে।

উষ্ণতা পেতে আগুন পোহানো আলিপুরদুয়ার শহরে। ছবি নারায়ন দে।

শীতের দাপট আরও বাড়ল উত্তরের জেলায়। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবাকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় কনকনে ঠান্ডার এমন আবহ থাকার সম্ভাবনা প্রবল। বুধবার কোচবিহারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবারের তুলনায় তা কমেছে। মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শুধু নয়, কোচবিহারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও গত ২৪ ঘন্টায় কমেছে। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭.৫ ডিগ্রি। বুধবার ওই তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কম হওয়া, দিনভর সে ভাবে রোদ না থাকায় স্বাভাবিক ভাবে কনকনে শীত বেশি অনুভূত হয়।

Advertisement

ওই মৌসম সেবাকেন্দ্রের নোডাল অফিসার শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আগামী শুক্রবার পর্যন্ত কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই কনকনে শীত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়াশার দাপটও চলবে।”

মৌসম সেবা কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে, জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ায় কয়েক দিন উত্তুরে হাওয়া সে ভাবে ঢুকতে পারছিল না। মঙ্গলবার থেকে ওই রেশ কাটতে শুরু করে। ফলে, জাঁকিয়ে ঠান্ডাও ফেরে। এখনও যা পূর্বাভাস, তাতে আরও দু’দিন কনকনে শীতের আমেজ থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

কনকনে শীতের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হওয়ায় গরম পোশাকের বিক্রি বাড়ছে বলে জানান ব্যবসায়ীদের একাংশ। তবে ঠান্ডার জেরে সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো সমস্যার আশঙ্কা মাথায় রেখে সতর্কতা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, “জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা নিয়ে রোগী থাকলে, তাঁদের দ্রুত সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠাতে আশাকর্মীদের বলা হয়েছে। শীতের সময় কত জন এমন রোগী আসছেন, তা-ও নজরে রাখা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে।”

সতর্ক রসিকবিল মিনি জ়ু কর্তৃপক্ষও। কোচবিহারের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, “ওই চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণীদের জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement