স্কুলব্যাগ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তল এবং কার্তুজ। — নিজস্ব চিত্র।
স্কুলপড়ুয়ার ব্যাগ থেকে তাজা কার্তুজ-সহ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার পাথরঘাটা এলাকায়৷ স্থানীয় হাই স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে একটি দেশি পিস্তল এবং তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। স্কুলপড়ুয়ার ব্যাগে পিস্তল কোথা থেকে এল তা নিয়ে ধন্দে সহপাঠী থেকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বংশীহারী থানার পুলিশ। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্কুলে বই বিতরণ চলছিল। সেই সময় তার ব্যাগ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। কী কারণে আগ্নেয়াস্ত্র স্কুলে এনেছে ওই পড়ুয়া, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষকদের মাথায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলপড়ুয়াকে আটক করে পুলিশ। রাতে তাকে বংশীহারী থানায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার তাকে বুনিয়াদপুর কোর্টে তোলা হবে।
বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, ‘‘পাথরঘাটার একটি স্কুল থেকে ফোন পাই যে, নবম শ্রেণির এক ছাত্র অস্ত্র নিয়ে স্কুলে এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পৌঁছয়। আমরা অস্ত্রটি উদ্ধার করেছি, সেই সঙ্গে একটি কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে। এ বিষয়ে একটা অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা তদন্ত করছি।’’
এ দিকে পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে গুলি ভরা বন্দুক উদ্ধারের ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা আতঙ্কিত সন্তানদের কথা ভেবে। এক ছাত্রের অভিভাবক গোবিন্দ দাস বলেন, ‘‘ক্লাস নাইনের ছেলের ব্যাগ থেকে পিস্তল পাওয়া গিয়েছে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে, খেলনা পিস্তল মনে হয়। কিন্তু পরে শুনলাম সত্যি পিস্তল! আমার ছেলে নবম শ্রেণি থেকে দশমে উঠেছে। ও পিস্তলের ব্যাপারে কিছুই জানে না। খুবই আতঙ্কে আছি। ছেলের মা বলছে, আর স্কুলে পাঠাবে না। আমি তাই স্কুলের প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে কয়েক জন অভিভাবককে নিয়ে কথা বলতে এসেছি।’’