উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
চার দিনের দার্জিলিং সফরে এসে হঠাৎই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে তাঁকে কালো পতাকা দেখালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার পরেও ঘণ্টাখানেক বৈঠক করে রাজ্যপাল ফিরে যান এনজেপি স্টেট গেস্ট হাউসে।
সোমবার এনজেপি স্টেশনে নেমে সস্ত্রীক রাজ্যপাল ওঠেন স্টেট গেস্ট হাউসে। সেখান থেকে দুপুরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বলেন, ‘‘বাস্তবে কী চলছে, তাই জানতে এসেছি।’’
২৮ জুন ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, ওই বৈঠক বানচাল করার চেষ্টা চলছে, এই অভিযোগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন রাজ্যপাল। বস্তুত, উচ্চ শিক্ষা দফতর তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া, রাজ্যপাল তথা আচার্য যে সব অস্থায়ী উপাচার্যকে বেছেছিলেন, তাঁদের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসতে বলেছেন। সব ঠিক থাকলে, ২৮ জুন রাজ্যপাল ওই উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার আগে রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ হল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তবে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল শুধু পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাধিক অভাব-অভিযোগ রয়েছে সাধারন মানুষের। আমার কাছে ‘ফিল্টার’ হয়ে বিভিন্ন তথ্য পৌঁছয়। কাজেই সাধারণ মানুষের কী অভাব অভিযোগ রয়েছে, তা যেন সঠিক ভাবে খতিয়ে দেখা হয়।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই তাঁর দার্জিলিং সফর বলে জানান রাজ্যপাল। শুধুমাত্র দার্জিলিং নয়, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুরে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যপালের। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘দার্জিলিং রাজভবনে যদি কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি দেখা করতে চায়, তাহলে তাদের স্বাগত।’’
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন-পর্বে অশান্তির আবহে রবিবারই রাজ্যপালের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনাকে বেশ কিছু পরামর্শ দেন রাজ্যপাল।