CV Ananda Bose

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ‘উদ্বেগ’ রাজ্যপালের

বিশ্ববিদ্যালয়ে বেআইনি ভাবে আন্দোলনের অভিযোগে দু’দিন পরে অতিথি শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের শোকজ় করেন রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার।

Advertisement
গৌর আচার্য 
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩২
CV Ananda Bose.

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। — ফাইল চিত্র।

কখনও তৃণমূলপন্থী শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলন কখনও অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন। এক সপ্তাহে এমনই জোড়া আন্দোলনে দফায় দফায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রয়োজনে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে উপাচার্য দীপককুমার রায়ের দাবি। শুক্রবার রাজ্যের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ‘ভিডিয়ো কনফারেন্স’ করেন রাজ্যপাল।

Advertisement

উপাচার্যের দাবি, সেখানেই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্যপাল উদ্বেগ প্রকাশ করেন। উপাচার্য বলেন, “বিশৃঙ্খলা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না বলে রাজ্যপাল জানিয়েছেন। তিনি সাত দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেও আন্দোলনের নামে যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবেন, তাঁদের সবাইকে রাজ্যপাল ‘সাসপেন্ড’ করার নির্দেশ দিয়েছেন।” উপাচার্যের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করার অভিযোগে তৃণমূলপন্থী শিক্ষাকর্মীদের নেতা তথা রায়গঞ্জ শহর তৃণমূলের সহ সভাপতি তপন নাগ ও ২০ জন অতিথি শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে শোকজ় করা হয়েছে। তাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শোকজ়ের জবাব দিলে তা খতিয়ে দেখে কিংবা শোকজ়ের জবাব না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করা ও বেআইনি ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এস্টেট কমিটি’ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তুলে আর্থিক সুবিধা দেওয়া-সহ একাধিক দাবিতে গত, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে উপাচার্যের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূলপন্থী শিক্ষাকর্মীরা। একই সময়ে, 'স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স' (স্যাক্ট) আইনে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভে শামিল হন সেখানকার অতিথি শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। ফলে, ওইদিন রাত পৌনে দু’টা পর্যন্ত উপাচার্য নিজের ঘরে আটকে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। পরে, পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঘেরাওমুক্ত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বেআইনি ভাবে আন্দোলনের অভিযোগে দু’দিন পরে অতিথি শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের শোকজ় করেন রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার। শুক্রবার তপনের নেতৃত্বে তৃণমূলপন্থী শিক্ষাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করে স্মারকলিপি জমা দেন। শনিবার তপনের কাছে শোকজ়ের চিঠি পাঠান রেজিস্ট্রার। তপন বলেন, “উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতা ও কাজকর্মের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন শুরু করেছি। তিনি সাসপেন্ড করার ভয় দেখিয়ে শিক্ষাকর্মীদের দমাতে পারবেন না। সাত দিনের মধ্যেই শোকজ়ের জবাব দেব।” আন্দোলনকারী অতিথি শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের তরফে রাগিব আলি মিনহাজের বক্তব্য, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন স্বাভাবিক রেখেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলাম। আমরা কোনও ভাবেই উপাচার্যকে আটকাইনি। আমরা নির্ধারিত সময়ে শোকজ়ের জবাব দেব।”

আরও পড়ুন
Advertisement