Rice Field under Water

জলের তলায় ধান-জমি, চিন্তা বাড়ছে কৃষকদের

বংশীহারির টাঙন নদীর জল মহানন্দায় গিয়ে পড়ে। কিন্তু মহানন্দার জল ক্রমশ বাড়ায় টাঙনের জল সেখানে টানতে পারছে না বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:২৩
Rice field under water

জল জমে রয়েছে ধানের জমিতে। বুধবার বুনিয়াদপুরে। ছবি: অমিত মোহান্ত।

বৃষ্টি থামলেও জল কমেনি টাঙন নদীর। তাই টাঙন সংলগ্ন এলাকাগুলির বানভাসি অবস্থার উন্নতি হয়নি। গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবার জল কমলেও বুধবারও তা বিপদসীমার উপরেই রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকা এ দিনও জলের নীচে থাকল। গঙ্গারামপুর মহকুমার সেচ দফতরের আধিকারিক দেবব্রত পাল বলেন, ‘‘টাঙনের জল কমেনি। পুনর্ভবার জল সামান্য কমেছে। যেখানে বাঁধ ভেঙেছে তার মেরামতি চলছে।’’

Advertisement

এ দিকে, মাঠের ধানজমি জলের তলায় থাকায় দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, দ্রুত জল না কমলে সমস্ত ধান গাছ পচে মরে যাবে। সেক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাঁদের। জেলা প্রশাসন কৃষি দফতরকে চাষের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিতে বলেছে। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘কৃষিতে কত ক্ষতি হয়েছে, তার হিসেব সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরকারি প্রকল্প অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্য করা হবে।’’

বংশীহারির টাঙন নদীর জল মহানন্দায় গিয়ে পড়ে। কিন্তু মহানন্দার জল ক্রমশ বাড়ায় টাঙনের জল সেখানে টানতে পারছে না বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর। তার ফলে, গত দু’দিন বৃষ্টি না হলেও টাঙনের জলস্তর কমছে না। গত চারদিন ধরে টাঙন চূড়ান্ত বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। টাঙনের জল না কমায় বংশীহারি ও গঙ্গারামপুরের যে সব এলাকা টাঙন সংলগ্ন, সেইসব এলাকার জলও নামেনি।

কুশমণ্ডির ঢাকঢোলে নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সেখানে বহু এলাকা প্লাবিত রয়েছে। বংশীহারি ব্লকের বুনিয়াদপুর, গাঙ্গুরিয়া, মহাবাড়ি, এলাহাবাদ অঞ্চলগুলির বহু মানুষ ঘর ছেড়ে রাস্তার ধারে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনের তরফে তাঁদের ত্রিপল ও খাবার বিলি করা হচ্ছে। গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবার জল সামান্য কমলেও বিপদসীমার উপর দিয়েই তা বইছে। এই নদীর হোসেনপুর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হোসেনপুর, সুখদেবপুর, গঙ্গারামপুর, ঠ্যাঙ্গাপাড়া, মহারাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলবন্দি। প্রশাসন হোসেনপুরে ত্রাণ শিবির খুলেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement