Row Over Refer

অসুস্থ শিশুকে রেফার করা নিয়ে মালদহের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তুলকালাম! চিকিৎসকের উপর হামলার অভিযোগ

পুরাতন মালদহের মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি চার বছরের শিশুকে নিয়ে এসেছিলেন অভিভাবকেরা। অভিযোগ, এক জন চিকিৎসক শিশুটিকে ভর্তি করিয়ে নেন। কিন্তু আর এক চিকিৎসক শিশুটিকে রেফার করে দেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
পুরাতন মালদহ শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৫১
Malda Medical College

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা। —নিজস্ব চিত্র।

চার বছরের অসুস্থ শিশুকে অন্য হাসপাতালে ‘রেফার’ করা নিয়ে উত্তেজনা পুরাতন মালদহের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কর্তব্যরত চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলা এবং গালিগালাজ করার অভিযোগ রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। পাল্টা, চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বুধবার মালদেহ মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ওই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে কলকাতায় আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে পুরাতন মালদহের মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি চার বছরের শিশুকে নিয়ে এসেছিলেন অভিভাবকেরা। শিশুটি জ্বরে ভুগছে। অভিযোগ, এক জন চিকিৎসক শিশুটিকে ভর্তি করে নেন। কিন্তু আর এক জন চিকিৎসক শিশুটিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ‘রেফার’ করে দেন। এ নিয়ে দুই তরফের কথা কাটাকাটি হয়। অরিন্দম চাকী নামে চিকিৎসকের দাবি, তাঁর গায়ে হাত তুলেছেন রোগী পরিবারের সদস্যেরা। গালাগালি করা হয়। পাল্টা রোগীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের কার্যত ধাক্কা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বার করে দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

অসুস্থ শিশুকে কেন হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে কিছু ক্ষণের মধ্যে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হল এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রোগীর পরিজনেরা। কেয়া মণ্ডল নামে শিশুটির এক অভিভাবক বলেন, ‘‘বাচ্চাটির তিন-চার দিন ধরে জ্বর। এক জন ডাক্তারবাবু ভর্তি করিয়ে নিলেন। বাচ্চাটি কষ্ট পাচ্ছিল। আর এক জন ডাক্তারবাবুকে বলেছিলাম বাচ্চাটাকে দেখতে যেতে। ওর মুখে ঘা হয়েছে। তিনি উল্টে প্রশ্ন করেন, ‘এত বাচ্চাকে এখানে কে ভর্তি করিয়েছে?’ তার পর রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আমাদের বাড়ি চলে যেতে বললেন। অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছে বলা হল!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তার পর পুলিশ এসে আমাদেরই দায়ী করে প্রায় ধাক্কা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বার করে দিয়েছে।’’

চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি দেখে তিনি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রোগীর আত্মীয়েরা তাঁর উপর চড়াও হন। উত্তেজিত হয়ে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করেন। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল মালদহ থানার পুলিশ। আক্রান্ত চিকিৎসক পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে শিশুর মা কাজল মণ্ডল, বাবা বিক্রম মণ্ডল, বিজয় রায়, পঙ্কজ রায়, আরতি রায় এবং এক জন অজ্ঞাত পরিচয় মিলিয়ে মোট ছ’জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

অন্য দিকে, ভুল চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগে মালদহ মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে শোরগোল শুরু হয়েছে। শফিকুল ইসলাম নামে ৩৫ বছরের এক যুবক জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মানিকচকের বড়বাগান এলাকার বাসিন্দাকে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ তোলে পরিবার। গন্ডগোলের খবর পেয়ে মানিকচক থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

আরও পড়ুন
Advertisement