Panchayat Member

‘জাল’ জাতি শংসাপত্র দাখিল! মালদহে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের পদ খারিজ, চক্রান্ত বলল দল

সোমবার মালদহের ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন হবে। জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক তদন্তে বিজেপি সদস্যার দাখিল করা শংসাপত্রটি ভুয়ো প্রমাণিত হওয়ায় সেটি বাতিল করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৩ ১৬:০৪
District Administration cancels caste certificate of a BJP panchayat member in Malda district

সুলেখা সিংহ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

জাল জাতি শংসাপত্র দাখিল করার অভিযোগে সদস্যপদ খারিজ হল বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্যার। গোটা ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের ‘চক্রান্ত’ এবং ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ অবশ্য উ়়ড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। উল্টে জাল জাতি শংসাপত্র দাখিল করার অভিযোগ ঘিরে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তারা।

Advertisement

ভুয়ো জাতি শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগে মালদহের হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য সুলেখা সিংহের সদস্যপদ খারিজ করেছে জেলা প্রশাসন। সুলেখার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নকল শংসাপত্র দাখিল করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। স্থানীয় এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। এই বিষয়ে অভিযুক্ত বিজেপি সদস্যার বক্তব্য জানতে নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়ার দাবি, সেই সব নোটিসের কোনও উত্তর দেননি সুলেখা। উল্টে উত্তর দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় চেয়েছিলেন তিনি।

সোমবার ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন রয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক তদন্তে বিজেপি সদস্যার দাখিল করা শংসাপত্রটি ভুয়ো প্রমাণিত হওয়ায় সেটি বাতিলের পাশাপাশি সদস্যপদও খারিজ করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ দেখছে বিজেপি। ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৭টি আসন দখল করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তৃণমূল পায় ১৩টি আসন। সিপিএম দু’টি এবং কংগ্রেস একটি আসনে জয়লাভ করে। মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর অভিযোগ, যেনতেনপ্রকারেণ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করার জন্য তৃণমূল ষড়যন্ত্র করছে। তাই প্রশাসনের মদত নিয়ে তাদের সদস্যার সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। তিনি বলেন, “কেউ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ভোটে লড়লে সেটি বাতিল হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এতে তৃণমূলের কোনও ব্যাপার নেই। প্রশাসন আইন মোতাবেক কাজ করেছে।”এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক জানান, মহাকুমাশাসকের নেতৃত্বে তদন্ত করা হয়েছে। তাতে প্রমাণ হয়েছে শংসাপত্রটি জাল। তাই খারিজ করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ভুয়ো শংসাপত্র জমা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ওই বিজেপি সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement