—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সরকারি নির্দেশের পরেও রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পঞ্চম শ্রেণি চালু করতে সমস্যায় শিক্ষক, আধিকারিকেরা। অভিযোগ, কোথাও পর্যাপ্ত পরিকাঠামো, ক্লাস ঘরের অভাব, কোথাও ছাত্রের অভাবে ক্লাস চালু হয়নি। ফলে খাতায় কলমে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি চালুর কথা বলা হলেও, বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে হয়নি।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারি প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়া ধরে রাখতে পঞ্চম শ্রেণি চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কারণ, অনেক সময় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তে দূরের হাই স্কুলে যেতে হয় বলে অনেকে পড়তে চায় না। স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়ে। বাড়ির কাছে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি থাকলে স্কুল ছুট হবে না বলে মনে করেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় ২১টি প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি চালুর নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। কিন্তু বাস্তবে, মাত্র ন’টি প্রাথমিকে আপাতত পঞ্চম শ্রেণি চালুর কথা বলা হয়েছে। বাকিগুলিতে চালু করতে না পারার কারণ হিসাবে, শিক্ষা জেলার স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) তরুণ সরকার বলেন, ‘‘আপাতত ন’টিতে নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে পঞ্চম শ্রেণি চালুর ঘোষণা হয়েছে। বাকিগুলিতে নানা সমস্যা রয়েছে। ধাপে ধাপে সেগুলিতেও হবে।’’
অভিযোগ, পঞ্চম শ্রেণি চালু করতে বলা বেশিরভাগ স্কুলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো, শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এমনকী যে নয়টি প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি চালু হয়েছে বলে ঘোষণা হয়েছে সেখানে ছাত্র ভর্তি নিয়ে নানা জটিলতা বাড়ছে বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি বয়েজ় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর এতদিন শিলিগুড়ি বয়েজ় হাই স্কুলকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ বয়েজ় প্রাইমারিতে পড়লে পঞ্চম শ্রেণিতে বয়েজ় হাই স্কুলে ভর্তি নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি চালু হলেও অভিভাবকদের অনেকে সেখানে পড়াতে চাইছে না। তাঁরা বয়েজ় হাই স্কুলেই বেশিরভাগ পড়ুয়াকে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করাচ্ছেন বলে দাবি। ফলে বয়েজ় প্রাথমিকে পঞ্চমের পড়ুয়ার অভাব।
শিলিগুড়ি গার্লস প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি চালুর নির্দেশ রয়েছে। সেখানে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রাথমিক স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াতে বলা হচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠলে তাদের হাইস্কুলে ভর্তি নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি। শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে বাইরের পড়ুয়ারা ভর্তি হবে। শিলিগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষা সংসদসের চেয়ারম্যান দীলিপ রায় বলেন, ‘‘বৈঠকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তবে পড়ুয়ারা যাতে সমস্যায় না পড়ে, সেটা দেখা আবশ্যিক।’’