Dulal Sarkar Murder Case

খুন হওয়া তৃণমূল নেতার বাড়িতে মমতা, মালদহে নিহত দুলালের স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর

গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজারের মহানন্দাপল্লিতে দুষ্কৃতীদের ছোড়া একাধিক গুলিতে নিহত হন দুলাল। খুনের ঘটনায় আট জন গ্রেফতার হলেও তদন্তে খুশি নন নিহতের স্ত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৫
Dulal Sarkar

(বাঁ দিক থেকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুলাল সরকার এবং চৈতালি ঘোষ সরকার। —নিজস্ব চিত্র।

জেলা সফরে এসে মালদহের ইংরেজবাজারে খুন হওয়া তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী দুলালের স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকারের সঙ্গে দেখা করেন।

Advertisement

বস্তুত, স্বামীর হত্যা মামলায় পুলিশ আট জনকে গ্রেফতার করলেও চৈতালি তাতে খুশি নন। তাঁর দাবি, ‘বড় মাথা’ রয়েছে দুলাল-খুনের পিছনে। এই প্রেক্ষিতে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। মমতা এবং চৈতালির সাক্ষাতের সময় তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের কেউ সেখানে ছিলেন না।

গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজারের মহানন্দাপল্লিতে দুষ্কৃতীদের ছোড়া একাধিক গুলিতে নিহত হন দুলাল। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে বিহারের বাসিন্দা মহম্মদ সামি আখতার, আব্দুল গনি এবং ইংরেজবাজারের টিঙ্কু ঘোষ, অভিজিৎ ঘোষ ও অমিত রজককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে। নরেন্দ্রনাথ মালদহ শহরের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন। নরেন্দ্রনাথ গ্রেফতার হতেই তৃণমূল তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। নরেন্দ্রনাথ এবং স্বপনই তৃণমূল নেতা দুলালকে খুনের ‘মূল চক্রী’ বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা যায়, ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়ে খুন করানো হয় দুলালকে। এর পর তৃণমূল নেতার খুনের তদন্তে সিট গঠন করেছে পুলিশ। জানা যায়, দুলালকে খুনের জন্য মোট চার ‘শুটার’ গিয়েছিলেন অকুস্থলে। তাঁদের মধ্যে বিহারের বাসিন্দা ‘শুটার’ মহম্মদ আসরারকে রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও কয়েক জন পলাতক।

এর আগে আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় নিহতের স্ত্রী তৃণমূলের পুর প্রতিনিধি চৈতালি ঘোষ সরকার দাবি করেন, তাঁর স্বামীকে খুনের নেপথ্যে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন