মালদহে জাতীয় সড়কের ধারে পড়ে মুণ্ডহীন দেহ। —প্রতীকী চিত্র।
মালদহের গাজোলে যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার। শুক্রবার সকালে জঙ্গলের মধ্যে ওই দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিছু ক্ষণের মধ্যে দেহ থেকে কয়েক গজ দূরে পড়ে থাকতে দেখা যায় কাটা মাথাটিও। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে একে খুনের ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গাজোলের দেওতলা অঞ্চলের ঘটনা। ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জঙ্গল এলাকায় শুক্রবার সকালে যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খোঁজাখুঁজির পর গ্রামবাসীরাই কাটা মুন্ডুটি পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক গজের মধ্যে। যুবকের নাম বা পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কেউ কেউ বলছেন, যুবককে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। কেউ কেউ আবার অনুমান করছেন, কোনও দুর্ঘটনার ফলেও এ ভাবে মাথা কেটে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে যুবকের।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সকালে খবর পেলাম জঙ্গলের ভিতরে একটি দেহ পড়ে আছে। গিয়ে দেখলাম দেহ এক দিকে, মাথা আর এক দিকে পড়ে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছিল। তারা এসে দেহ নিয়ে গিয়েছে। কোথা থেকে এল, কার দেহ, সে সব পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যুবককে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল জঙ্গলের ভিতরে। মুণ্ডহীন দেহের পরনে ছিল শুধু একটি প্যান্ট। তাঁর হাতটি বুকের উপরে রাখা ছিল। দেহে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। বিজয় বলেন, ‘‘মৃতদেহের একটি বারমুডা পরা ছিল। আর কিছু নয়। এটি খুনও হতে পারে, দুর্ঘটনাও হতে পারে। এখনই আন্দাজে কিছু বলা যাবে না। বাঁ হাতটা বুকের উপরে রাখা ছিল। হাত এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে।’’ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত করা উচিত, দাবি স্থানীয়দের। এই ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এটি নরবলির ঘটনা হতে পারে বলেও কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তবে পুলিশের তরফে এ বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।