Bail

‘তৃণমূলের হয়ে কাজ করেন’, রাগে বিডিওকে চেয়ার ছুড়ে মারা সেই বিজেপি নেতাকে প্রশ্ন করল আদালত

বিজেপির অভিযোগ, বালুরঘাটের বিডিও শাসকদলকে সুবিধা করে দিয়ে বিজেপির ডাকা সেই অনাস্থা ভেস্তে দেন। অভিযোগ, তখন বিডিও-র ঘরে ঢুকে তাঁকে চেয়ার ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:০৯
bail

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিডিও পক্ষপাতদুষ্ট। তিনি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে শাসকদলকে সুবিধা করে দিয়েছেন। এমনই অভিযোগ তুলে বিডিওর অফিসে ঢুকে তাঁকে কাঠের চেয়ার ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় আহত হন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের বিডিও অনুজ সিকদার। ওই ঘটনার জেরে প্রায় দু’মাস জেলে কাটানোর পর অবশেষে জামিনে মুক্ত হন বিজেপি নেতা। সোমবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করল আদালত।

Advertisement

২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙাগ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চাপানউতর শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ ছিল, বালুরঘাটের বিডিও শাসকদলকে সুবিধা করে দিয়ে বিজেপির ডাকা সেই অনাস্থা ভেস্তে দেন। অভিযোগ, তার পরেই ক্ষিপ্ত বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার সে বছরের ১২ ডিসেম্বর বিডিও-র ঘরে ঢুকে তাঁকে চেয়ার ছুড়ে মারেন। সিসি ক্যামেরায় বন্দি হয় সেই দৃশ্য। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই তোলপাড় শুরু হয়। পরে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে। পরে জামিনে মুক্ত হন ওই বিজেপি নেতা। জেলা আদালত সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট মামলায় গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। তার পর ২০২৩ সালের ১১ মে আদালতে চার্জশিট গঠন হয়। তার পর ১৮ অগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যপ্রমাণ নেওয়া হয়।

ওই ঘটনায় বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৩১৩ ধারায় এই মামলায় বিচারক অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আশা করছি, খুব দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’’ তিনি আরও জানান, যে কোনও মামলার সেশন শুরু থেকে তিন থেকে ছ’মাস কিংবা এক বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করে থাকি। মামলার মূল অভিযুক্তকে সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারক। বালুরঘাট জেলা আদালতের দ্বিতীয় কোর্টের অতিরিক্ত নগর ও দায়রা বিচারক শরণ্যা সেন প্রসাদ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার পর সওয়াল জবাবের জন্য তারিখ দেওয়া হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন